আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে জীবনযাপনে। যার হাত ধরে অল্প বয়সেই শরীরে থাবা বসাচ্ছে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ। চিকিৎসকেদের মতে, প্রত্যেক লিভারেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। সেই চর্বি মাত্রাতিরিক্ত জমে গেলে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি।
2
10
বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু ওষুধ নয়, সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে লিভার ডিটক্সিফিকেশনেরও প্রয়োজন। নিয়মিত কয়েকটি পানীয়তে চুমুক দিলেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে পারেন।
3
10
আদা চা- আদাতে জিঞ্জেরল নামে একটি উপাদান থাকে যা মেদ গলাতে পারে এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। নিয়মিত আদা চা পান করলে লিভারের চর্বি এবং প্রদাহ কমে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে।
4
10
গ্রিন টি- অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বিশেষ করে ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ গ্রিন টি লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মেদ জমতে দেয় না। লিভারকে পরিষ্কার করার জন্য দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করুন। এটি প্রাকৃতিকভাবে চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া সহজ করে।
5
10
অ্যালোভেরা জুস- অ্যালোভেরা প্রদাহ কমায় এবং লিভারকে সুস্থ রাখে। এটির বিভিন্ন উৎসেচক হজমে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেলে লিভারে মেদ জমে না, ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধ করে।
6
10
ব্ল্যাক কফি- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্ল্যাক ফ্যাটি লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমায়। তবে কফিতে ক্যাফেইন রয়েছে, তাই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। বিশেষ করে রাতের দিকে কফি খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
7
10
আমলকির জুস- আমলকির রসে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা লিভারে মেদ জমাতে বাধা দেয়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস আমলকির রস লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
8
10
হলুদ দুধ- হলুদের কারকিউমিন একটি প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান। গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে এবং লিপিড প্রোফাইলকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে লিভারের চর্বি গলিয়ে দেয়।
9
10
বিটরুট জুস- নাইট্রেট এবং বিটালাইনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বিটরুটের রস রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং লিভারের উপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এটি টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর লিভারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
10
10
লেবুর জল- লেবুর জল লিভারের প্রাকৃতিক উৎসেচকগুলোকে সক্রিয় করে এবং পিত্ত উৎপাদন বাড়ায়। সঙ্গে হজম এবং মেদ গলানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। সকালে নিয়মিত লেবুর রস খেলে লিভার খুব ভালভাবে ডিটক্স হয়।