আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সুস্থতার জন্য হাড়ের জোর থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভুল খাদ্যাভ্যাস, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি, শরীরচর্চার অভাব সহ একাধিক কারণে অল্প বয়সেও হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। সঙ্গে হানা দেয় জয়েন্টে ব্যথা এবং শরীরের দুর্বলতার মতো একাধিক সমস্যা। হাড় মজবুত রাখতে নিয়মিত বিশেষ কয়েকটি খাবার খাওয়া জরুরি।
2
6
রাগিঃ অনেকেই জানেন না যে ১০০ গ্রাম রাগিতে প্রায় ৩৪৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে যা একই পরিমাণ দুধের চেয়ে অনেক বেশি। সঙ্গে রয়েছে ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি শরীরকে খুব ভালভাবে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন এটি অঙ্কুরিত হয় বা ফার্মেন্টেট হিসেবে খাওয়া হয়। নিয়মিত রাগি পোরিজ বা রুটি খেলে বিশেষ করে সকালে রাগি খাওয়ার অভ্যাস এক মাসের মধ্যে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে পারে।
3
6
সাদা তিলঃ এই ছোট্ট বীজ শুধু নাড়ু বানানোর জন্যই পরিচিত নয়, এর মধ্যে হাড় গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অর্থাৎ ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসও রয়েছে। এক টেবিল চামচ তিলের বীজে এক গ্লাস দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটির ম্যাগনেশিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপস্থিতি, যা শরীরকে কার্যকরভাবে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
4
6
সজনে পাতাঃ পুষ্টিগুণ হিসেবে কেলে এবং পালং শাকের পরিচিতি থাকলেও সজনে পাতা ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে আরও সমৃদ্ধ। সজনে পাতায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনকেও থাকে যা হাড়ের সঙ্গে ক্যালসিয়াম আবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
5
6
বাদাম এবং বীজঃ কাঠবাদাম, চিয়া বীজ এবং কুমড়োর বীজের মতো বাদাম ও বীজে ভরপুর মাত্রায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং হাড়ের গঠন বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে ফসফরাস ক্যালশিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাড়কে শক্তিশালী করে।
6
6
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারঃ দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। যা হাড়কে মজবুত করে এবং ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবারে ফসফরাসও থাকে, যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিলিত হয়ে হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী করে।