ছোটপর্দার ‘গুত্থি’ হোক বা ‘ডক্টর মসৌর গুলাটি’- কৌতুক অভিনেতা জনপ্রিয় তাঁর নিজ গুণেই। তাঁকে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’-এও। স্বল্প হোক দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের, যে কোনও চরিত্রে নিজস্বতার ছাপ রাখেন। তিনি সুনীল গ্রোভার।
2
7
বিনোদন জগতে তারকা হওয়ার পথ কখনওই সহজ নয়। সেই বাস্তব উদাহরণ যেন এই জনপ্রিয় কমেডিয়ান ও অভিনেতা। তাঁর সাফল্যের পিছনে যে এক কঠিন সংগ্রামের গল্প লুকিয়ে আছে, তা সম্প্রতি সামনে এনেছেন অভিনেত্রী উপাসনা সিং।
3
7
দীর্ঘদিন কপিল শর্মার শো-তে ‘বুয়া’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপাসনা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিখ্যাত হওয়ার আগে সুনীল গ্রোভার এমন এক মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন যে তাঁকে ডিপ্রেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল অত্যন্ত সীমিত, আর্থিক অনিশ্চয়তা ছিল প্রবল এবং নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি।
4
7
উপসনা বলেন, “শুরুর দিকে ও খুব ধীরগতিতে কথা বলত। নির্মাতারা মনে করতেন এই গতি নিয়ে সে অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পারফর্ম করতে পারবে না। এমনকী তাঁকে বাদ দেওয়ার কথাও উঠেছিল।” উপাসনার মতে, মানুষের সামনে যা দেখা যায় তার বাইরেও গ্রোভারের ভিতরে ছিল অসাধারণ এক প্রতিভা, যা ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করে।
5
7
ঠিক সেই কঠিন সময়েই আসে তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানোর সুযোগ ‘দ্য কপিল শর্মা শো’। শুরুতে তাঁকে নিয়ে সন্দেহ থাকলেও গ্রোভার ক্যামেরার সামনে নিজের নতুন রূপ দেখাতে শুরু করেন। তাঁর তৈরি করা জনপ্রিয় চরিত্র যেমন ‘গুথি’, ‘ডাঃ মশূর গুলাতি’, ‘রিঙ্কু ভভাভী’ দর্শককে হাসিতে ভরিয়ে তোলে। স্বকীয় স্টাইল, নিখুঁত টাইমিং এবং দারুণ উপস্থিতি তাঁকে দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়। উপসনা সিং জানান, “মানুষ তখন সুনীলের আসল প্রতিভা দেখতে শুরু করে। যারা প্রথমে সন্দেহ করেছিল, তারাই শেষে তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিল।”
6
7
সাফল্য আসার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গ্রোভারকে। টেলিভিশন ছাড়াও এখন তিনি ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। নেটফ্লিক্স-এর ‘দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শর্মা শো’-এ তিনি আবার কপিল শর্মার সঙ্গে ফিরেছেন। পাশাপাশি সানফ্লাওয়ার, ডাব্বা কার্টেল-এর মতো প্রোজেক্টেও তাঁর ব্যস্ততা চলছে।
7
7
সুনীল গ্রোভার-এর এই যাত্রা প্রমাণ করে, অন্ধকার যত গভীরই হোক, প্রতিভা ও অধ্যবসায় থাকলে পথ খুলবেই। ডিপ্রেশন থেকে আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তার পথ যেন এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প, যা বিনোদন জগৎ সহ সাধারণ মানুষের জীবনেও নতুন আশার আলো জ্বালিয়ে দেয়।