হিন্দু ধর্ম ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে পঞ্চক একটি বিশেষ সময়। চাঁদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এই সময় নির্ধারিত হয়। যখন চন্দ্র ধনিষ্ঠা নক্ষত্র থেকে রেবতী নক্ষত্র পর্যন্ত থাকে, তখন মোট পাঁচ দিন ধরে যে সময়কাল চলে, তাকেই বলা হয় পঞ্চক।
2
10
পঞ্চক শুরু হয়েছে গতকাল ২৪ ডিসেম্বর। শেষ হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। এটি বছরের শেষ পঞ্চক, আর তার উপর আবার চলছে খরমাস। তাই অনেকেই এই সময়টাকে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে দেখেন।
3
10
সূর্য ধনু রাশিতে অবস্থান করলে শুরু হয় খরমাস। সেই মতো গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে চলছে খরমাস। খরমাস এমন একটি সময়, যখন শুভ কাজ সাধারণত বন্ধ রাখা হয়। আর পঞ্চক সেই ধারণাকে আরও জোরালো করে। এই বছর আবার খরমাসে পঞ্চক ঘটছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে, অনুসারে পঞ্চককে অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।পঞ্চকের পাঁচ দিনে কোন কাজগুলি করা উচিত নয়, জেনে নিন-
4
10
এই সময়ে বাড়ি তৈরি, ছাদ ঢালাই, নতুন দোকান বা অফিসের নির্মাণ শুরু করা ঠিক নয়। কথিত রয়েছে, এতে ভবিষ্যতে আর্থিক ক্ষতি বা মানসিক অশান্তি দেখা দিতে পারে।
5
10
পঞ্চকে বিছানা কেনা অশুভ বলে ধরা হয়। মনে করা হয়, এতে অসুস্থতা বা দাম্পত্য জীবনে সমস্যা আসতে পারে।
6
10
আগুন সংক্রান্ত কাজ এড়িয়ে চলুন। চুল্লি বসানো, বড় রান্নার আয়োজন বা আগুনের ঝুঁকি রয়েছে এমন কাজ এই সময় না করাই ভাল।
7
10
অপ্রয়োজনে দূরযাত্রা নয়। বিশেষ করে দক্ষিণ দিকের যাত্রা পঞ্চকে শুভ নয় বলে ধরা হয়। খুব জরুরি না হলে ভ্রমণ পিছিয়ে দেওয়া শ্রেয়।
8
10
এই সময়ে কারও মৃত্যু হলে বিশেষ ‘পঞ্চক শান্তি’ করার নিয়ম আছে। বিশ্বাস করা হয়, এতে পরপর অশুভ ঘটনা এড়ানো যায়।
9
10
পঞ্চকে কী করা ভাল হয়? পঞ্চক মানে শুধু নিষেধ নয়। এই সময় কিছু কাজ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। যেমন ঈশ্বরের নাম জপ বা প্রার্থনা, দরিদ্রকে খাবার বা কাপড় দান, ঘর পরিষ্কার করা, পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস দান করা। এই কাজগুলি ইতিবাচক শক্তি বাড়ায় বলে মনে করা হয়।
10
10
পঞ্চক ও খরমাস মূলত সংযম আর সতর্কতার সময়। এই পাঁচ দিনে নতুন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না করে ধৈর্য ধরে চলাই ভাল। নিয়ম মেনে চললে মানসিক শান্তি বজায় থাকে এবং নতুন বছরের শুরু হবে আরও ইতিবাচকভাবে।