আজকের দিনে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন কার্যত অচল। ব্যক্তিগত কথা থেকে অফিসের কাজ, ব্যাঙ্কের তথ্য থেকে ছবি–ভিডিও-সবকিছুই এই একটি অ্যাপের উপর নির্ভরশীল। তাই হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হয়ে গেলে বা স্ক্যামের শিকার হলে বড় বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অনেকটাই নিরাপদ রাখা সম্ভব।
2
9
সবচেয়ে আগে যে কাজটি করবেন, তা হল টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা। এতে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে একটি আলাদা ৬ সংখ্যার পিন সেট করা থাকে। কেউ আপনার নম্বর জানলেও এই পিন ছাড়া অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। সেটিংসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট অপশনে ঢুকে খুব সহজেই এটি চালু করা যায়।
3
9
ওটিপি বা যাচাইকরণ কোড কাউকে কখনও দেবেন না। অনেক সময় প্রতারকরা বন্ধু বা পরিচিত সেজে মেসেজ করে এই কোড চাইতে পারে। মনে রাখবেন, হোয়াটসঅ্যাপ কখনও ফোন বা মেসেজ করে কোড চাইবে না। একবার কোড জানালেই আপনার অ্যাকাউন্ট অন্যের হাতে চলে যেতে পারে।
4
9
অচেনা লিঙ্ক বা সন্দেহজনক মেসেজ এড়িয়ে চলুন। ‘এই ভিডিওটা দেখো’, ‘তুমি লটারিতে জিতেছ’ বা ‘ফ্রি গিফট’- এই ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করলেই স্ক্যামের ফাঁদে পড়তে পারেন। পরিচিত নম্বর থেকে এলেও সন্দেহ হলে আগে যাচাই করুন।
5
9
নিয়মিত লিঙ্কড ডিভাইস চেক করুন। আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অন্য কোনও মোবাইল বা কম্পিউটারে খোলা আছে কিনা, তা দেখার অপশন রয়েছে। কোনও অজানা ডিভাইস দেখলে সঙ্গে সঙ্গে লগআউট করে দিন।
6
9
হোয়াটসঅ্যাপ সবসময় আপডেট রাখুন। নতুন আপডেটে নিরাপত্তা আরও জোরালো করা হয়। পুরনো ভার্সন ব্যবহার করলে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
7
9
এছাড়া পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। ক্যাফে বা স্টেশনের ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলে তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খুব প্রয়োজন না হলে এই নেটওয়ার্ক এড়িয়ে চলাই ভাল।
8
9
সর্বোপরি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। ব্যাঙ্কের তথ্য, পাসওয়ার্ড বা গুরুত্বপূর্ণ নথি হোয়াটসঅ্যাপে কাউকে পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ।
9
9
একটু সচেতন থাকলেই হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক বা স্ক্যাম থেকে নিজেকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখা যায়। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতাই সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা।