রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ভারতের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি। তাঁর পরেই রয়েছেন গৌতম আদানিরা। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিবেশী দেশ নেপালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে?
2
9
নেপালের ধনকুবের নাম বিনোদ চৌধুরী। মজার বিষয় হল, তিনি দেশের একমাত্র কোটিপতি। ছোট্ট একটা ব্যবসা থেকে তাঁর উত্থান শুরু। বিনোদ চৌধুরীর সংস্থা এখন যে পণ্য তৈরি করেন তা কেবল নেপালেই নয়, সারা ভারতের প্রতিটি অলিতে গলিতে বিক্রি হয়।
3
9
বিনোদ চৌধুরীর মোট সম্পদের পরিমাণ মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি বা রতন টাটার তুলনায় অনেক কম। তবে ব্যবসায়ী হিসাবে তাঁর সাফল্য বেশ উল্লেখযোগ্য। আসুন বিনোদ চৌধুরী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...
4
9
বিনোদ চৌধুরী কাঠমান্ডুতে একটি মারোয়ারি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর দাদা ভারতে এসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং ভালো সাফল্য পেয়েছিলেন। পরে তাঁর বাবা ব্যবসাটি দেখভাল করেন এবং তা সম্প্রসারিত করেন।
5
9
বিনোদ চৌধুরী থাইল্যান্ড সফরের সময়ে দেখেন যে সেখানকার মানুষের মধ্যে ইনস্ট্যান্ট নুডলসের জনপ্রিয়তা খুব বেশি। তারপরই নেপালে ফিরে এই ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
6
9
নেপালে ফিরে আসার পর, তিনি তাঁর ব্র্যান্ড- ওয়াই ওয়াই নুডলস চালু করেন। ইনস্ট্যান্ট নুডলস তাৎক্ষণিকভাবে নেপালের মানুষের পছন্দ হয়ে ওঠে এবং প্রতিটি পরিবারের প্রিয় নুডল হয়ে ওঠে।
7
9
নেপালে সুজুকি গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন শিল্পপতি বিনোদ চৌধুরী।
8
9
প্রথমে ভারতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়াশোনা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বিনোদ, তবে তাঁর বাবার হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি তাঁর পারিবারিক ব্যবসাকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখভালের সিদ্ধান্ত নেন। যা শেষ পর্যন্ত তাঁকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।
9
9
ব্যবসার পাশাপাশি, তিনি সমাজসেবা এবং রাজনীতিতেও অত্যন্ত সক্রিয়। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের পর, তাঁর সংস্থা 'চৌধুরী ফাউন্ডেশন' স্কুল এবং ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য ২০ কোটি টাকা দান করেছিলেন।