প্রায় দেড় দশক পেরিয়ে, প্রথমবার। প্রখর গ্রীষ্মের মাঝে শান্তি দিয়ে সময়ের অনেক আগেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের আটদিন আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে কেরলে। ভারতের মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছর কেরলে বর্ষা এসেছে ২৩ মে, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে আগে। সাধারণত ১ জুন কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে।
2
9
শেষবার এত আগে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ২০০৯ ও ২০০১ সালে। সেবারেও ২৩ মে দেশে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। যদিও হাওয়া অফিস প্রথমে জানিয়েছিল, কেরলে এবার বর্ষা প্রবেশ করতে মারে ২৭ মে। তবে তারও দিন কয়েক আগে এল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখে এর অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারেও এই বর্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
3
9
কিন্তু আর্লি মনসুন কেন এবার? কোন কোন বৈশিষ্ট্যের নিরিখে বলা যায়, বর্ষা কবে প্রবেশ করছে- আইএমডি মূলত ১০ মে-এর পরে যেকোনও সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনের সময়সূচী ঘোষণা করার চেষ্টা করে। এটি করার জন্য, কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে-
4
9
বৃষ্টিপাত- যদি দক্ষিণের ১৪টি আবহাওয়া কেন্দ্র - মিনিকয়, আমিনি, তিরুবনন্তপুরম, পুনালুর, কোল্লাম, আল্লাপুঝা, কোট্টায়াম, কোচি, ত্রিশুর, কোঝিকোড়, থালাসেরি, কান্নুর, কুডুলু এবং ম্যাঙ্গালোর-এর ৬০ শতাংশ, টানা দুই দিন ধরে ২.৫ মিমি বা তার বেশি বৃষ্টিপাতের রিপোর্ট দেয়।
5
9
বায়ু ক্ষেত্র: পশ্চিমা বাতাস ৩০ থেকে ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশে, উত্তর ও দক্ষিণ উভয় গোলার্ধেই পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয়। শুরুর জন্য, পশ্চিমা বাতাসের গভীরতা ৬০০ হেক্টোপাস্কাল বা এইচপিএ পর্যন্ত বজায় থাকতে হবে, যা বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পরিমাপের একক, এবং বাতাসের গতি ৯২৫ এইচপিএ-এ ১৫-২০ নট (২৭-৩৭ কিমি/ঘন্টা) এর মধ্যে হতে হবে।
6
9
আউটিং লংওয়েভ রেডিয়েশন ও এক্ষত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপরের এই মানদন্ডগুলি মিলে গেলেই, পর্যবেক্ষণের দ্বিতীয় দিনে কেরলে বর্ষা কবে ঢুকবে সেই সম্ভাবনার কথা জানায় আইএমডি।
7
9
এবছর, সমগ্র লাক্ষাদ্বীপ, মাহে (পুদুচেরি), আরব সাগরের অনেক অংশ এবং বঙ্গোপসাগর জুড়ে একযোগে বর্ষার সূচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু উত্তর-পূর্ব ভারতের দক্ষিণ কর্ণাটক এবং মিজোরামের কিছু অংশে পৌঁছেছে।
8
9
তবে এবার কেন সময়ের আগে এল বর্ষা? কী কী কারণ রয়েছে তার পিছনে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার একাধিক, বৃহৎ বায়ুমণ্ডল-সমুদ্রীয় এবং স্থানীয় কারণ তৈরি হয়েছিল যেগুলি আর্লি মনসুন-এর অনুকূল ছিল।
9
9
এছাড়া, বায়ুমণ্ডলে তাপ এবং আর্দ্রতার উল্লম্ব পরিবহনের ফলে, পরিবাহী কার্যকলাপের বৃদ্ধিও বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে, এবার ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ। আরব সাগরে বিস্তৃত ঘূর্ণিঝড় ও আগাম বর্ষায় কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে।