আলোর উৎসব দীপাবলি যেমন রঙ ও আনন্দে ভরপুর, তেমনি লুকিয়ে থাকে এক বিপদ—বায়ুদূষণ। বাজি পোড়ানোর ফলে ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসে ভরে যায় বাতাস, যা শিশুদের ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
2
7
শিশুরা দ্রুত শ্বাস নেয় এবং বেশি সময় বাইরে কাটায়, ফলে তারা দূষিত বাতাস বেশি শ্বাস নেয়। এতে তাদের নরম ফুসফুসে ধুলো ও ক্ষতিকর কণিকা জমে শ্বাসকষ্ট, কাশি বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়।
3
7
বাজি পোড়ালে নির্গত হয় সালফার ডাই–অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ও PM2.5 কণিকা। এসব বিষাক্ত পদার্থ বাতাসে অনেকক্ষণ ভাসে এবং শীতের রাতে মাটির কাছাকাছি জমে থাকে, ফলে দূষণ আরও বেড়ে যায়।
4
7
বাজির ধোঁয়া শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, বুক জ্বালা, গলা ব্যথা ও ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘদিনের এক্সপোজারে ফুসফুসের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় ও ভবিষ্যতে ক্রনিক শ্বাসরোগের আশঙ্কা বাড়ে।
5
7
দূষণের মাত্রা বেশি থাকলে, বিশেষ করে সকালে ও রাতে, শিশুকে বাইরে যেতে দেবেন না। প্রয়োজন হলে মুখে ভালো মানের মাস্ক পরান এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন যাতে ধোঁয়া ঢুকতে না পারে।
6
7
আনন্দ কমানো ছাড়াই পরিবেশবান্ধব দীপাবলি পালন করা যায়—প্রদীপ, আলো, সঙ্গীত ও মিষ্টি দিয়েই হোক উৎসব। শিশুকে বেশি করে জল পান করান এবং কমলালেবু, আমলকি, পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন–সি সমৃদ্ধ ফল দিন, যা ফুসফুসকে মজবুত করে।
7
7
যদি শিশুর কাশি, হাঁপানি বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সচেতন ও দায়িত্বশীলভাবে উৎসব পালন করলে আলো ও আনন্দ দুটোই বজায় থাকবে, আর শিশুর ফুসফুসও থাকবে নিরাপদ।