সপ্তাহের শুরুতেই লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে ভরা রাস্তায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যে ভয়াবহ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। বিস্ফোরণের পর কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কয়েকটি গাড়ি নিমেষে পুড়ে খাক।
2
8
গত দু'দশকে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া আরও একাধিক বিস্ফোরণের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে গতকালের ঘটনা। ১৯৯৭ সাল: ৯ জানুয়ারি আইটিও-তে দিল্লি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের উল্টোদিকে বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জন আহত হয়েছিলেন। এই বছরেই পয়লা অক্টোবর সদর বাজার এলাকায় একটি শোভাযাত্রার কাছে দু'টি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ জন আহত হয়েছিলেন। ১০ অক্টোবর শান্তিবান, কৌরিয়া পুল, এবং কিংসওয়ে ক্যাম্প এলাকায় তিনটি বোমা বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু এবং ১৬ জন আহত হয়েছিলেন।
3
8
১৯৯৭ সাল: ১৮ অক্টোবরে রানি বাগ বাজার এলাকায় জোড়া বোমা বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আরও ২৩ জন আহত হয়েছিলেন। ২৬ অক্টোবর কারোল বাগ এলাকায় জোড়া বোমা বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু ও ৩৪ জন আহত হন। ৩০ নভেম্বর লালকেল্লায় জোড়া বোমা বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু ও ৭০ জন আহত হয়েছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর পাঞ্জাবি বাগের কাছে চলন্ত বাসে বোমা বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু এবং ৩০ জন আহত হয়েছিলেন।
4
8
১৯৯৮ সাল: ২৬ জুলাই কাশ্মীরি গেটের কাছে ইন্টার স্টেট বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু ও তিনজন আহত হয়েছিলেন।
5
8
২০০০ সাল: ১৮ জুন লালকেল্লার সামনেই জোড়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু ও ১২ জন আহত হয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে আট বছরের এক নাবালিকাও রয়েছে।
6
8
২০০৫ সাল: ২২ মে দিল্লির দু'টি সিনেমা হলে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও ৬০ জন আহত হয়েছিলেন। এই বছরেই আরও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে দিল্লিতে। ২৯ অক্টোবর সরোজিনী নগর, পাহাড়গঞ্জ মার্কেট এবং গোবিন্দপুরী এলাকার একটি বাসে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক আহত হয়েছিলেন।
7
8
২০০৬ সাল: ১৪ এপ্রিল পুরনো দিল্লির জামা মসজিদের পিছনে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছিলেন।
8
8
২০০৮ সাল: ১৩ সেপ্টেম্বর কারোল বাগ এবং গ্রেটার কৈলাশ -১ এলাকায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে পরপর পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণে ২৫ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক আহত হয়েছিলেন।
এই বছরে ২৭ সেপ্টেম্বর কুতুব মিনারের কাছের বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু এবং ২১ জন আহত হয়েছিলেন।