আজকের ব্যস্ত জীবনে কাজের চাপ ও মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে অনেকেরই ঘুমের সময় কমে যাচ্ছে। রাত জেগে কাজ করা, দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, সব মিলিয়ে দেহের স্বাভাবিক ঘুমের ছন্দ ভেঙে পড়ছে। এর ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুণগত মানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
2
5
মানুষের শরীরে একটি নিজস্ব সময়নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা রয়েছে, যাকে জৈবিক ঘড়ি বলা হয়। এই ঘড়ির নিয়ম মেনে হরমোন ক্ষরণ, ঘুম-জাগা ও খিদে নিয়ন্ত্রিত হয়। নিয়মিত কম ঘুম হলে এই ছন্দ বিঘ্নিত হয় এবং তার সরাসরি প্রভাব পড়ে টেস্টোস্টেরন হরমোন ও শুক্রাণু উৎপাদনের উপর।
3
5
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণা অনুযায়ী, যারা রাতে দীর্ঘ সময় জেগে থেকে ভোরের দিকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা ঘুমান, তাঁদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়। বিশেষ করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান হ্রাস পায়, যার ফলস্বরূপ বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা বাড়ে।
4
5
ঘুমের অভাবে দেহঘড়ি এলোমেলো হলে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা আরও কমে গিয়ে ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’-সহ নানা জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ঘুম ও প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
5
5
দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শুধু ক্লান্তি বা অবসাদই নয়, বরং ডায়াবিটিস, স্থূলতা, হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যেতে পারে। তাই সুস্থ শরীর ও প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য রাতে টানা ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন; প্রয়োজনে মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম সহায়ক হতে পারে।