সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অমিতাভ বচ্চন এবং রেখা। এক ফ্রেমে তাঁরা শেষ বার দেখা দিয়েছিলেন সেই আটের দশকে। যশ চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘সিলসিলা’য়। বলিউডের সর্বত্র কান পাতলেই শোনা যায়, পরিবারের মুখ চেয়ে রেখার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে ছেদ টেনেছিলেন অমিতাভ। ফিরে এসেছিলেন স্ত্রী জয়া বচ্চনের কাছে।

বাস্তবে এখন অমিতাভ-রেখা আক্ষরিক অর্থেই ‘দো আনজানে’। তা সত্ত্বেও তাঁদের ফের জুটি বাঁধার জল্পনার ‘সিলসিলা’ আজও শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ! সিলসিলা’র পরবর্তী দু’দশক সসম্মানে একে অপরকে এড়িয়ে চলেছেন তাঁরা। বিভিন্ন পার্টি এবং অনুষ্ঠানে চোখে পড়েছে অমিতাভ-জায়া জয়া বচ্চন এবং রেখার শীতল দূরত্বও। তবে এই চার দশকের দূরত্বে কোনও পক্ষ-ই কারওর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ তো দূর অস্ত, কটাক্ষ পর্যন্ত করেননি। তবে কি আর কোনওদিনই পর্দায় একসঙ্গে হাজির হবেন না এই জুটি? নাকি হলে বাধ সাধবেন অমিতাভ-পত্নী? অথবা সত্যিই কি পরস্পরের গভীর প্রেমে ডুব দিয়েছিলেন অমিতাভ-রেখা?

 

২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন জয়া বচ্চন। বলেছিলেন, " যদি সত্যিই উনি (অমিতাভ) অন্য সম্পর্কে জড়াতেন তাহলে কি উনি অন্য কারও সঙ্গে সংসার পাততেন। তাই না? দর্শক তাঁদের জুটিকে পর্দায় দারুণ পছন্দ করতেন। সেটা নিয়ে কেন সমস্যা থাকবে আমার? সমস্যাটা হল ওঁর (অমিতাভের) ছবির প্রতিটি নায়িকার নামের সঙ্গে ওঁর নাম জড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেসবের প্রত্যেকটায় যদি কান দিতাম, তাহলে তো আমার জীবনটা নরক গুলজার হয়ে উঠতো। তা হয়নি কারণ আমরা শক্ত ধাতুতে তৈরি।" 

 

রেখার সঙ্গে পর্দায় তাঁর স্বামীর জুটি বাঁধার প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছিলেন জয়া। " ওঁরা একসঙ্গে কাজ করলে আমার আপত্তি থাকবে কেন? তবে ওঁদের অভিনয় দেখার থেকে পর্দায় তাঁরা একসঙ্গে কাজ করছেন-এই বিষয়টাই একমাত্র রসালো আলোচনা হয়ে দাঁড়াবেন, যা কাম্য নয়। আর তাঁরা দু'জনেই হয়তো এটা বোঝেন তাঁরা একসঙ্গে পর্দায় জুটি বাঁধলে এটাই হবে।" 

 

'শামিতাভ' মুক্তি পাওয়ার আগে রেখার সঙ্গে ফের কাজ করার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অমিতাভও। বলেছিলেন, “ বাল্কি আমাকে বার বার বলছেন, আমাদের দু’জনকে নিয়ে তিনি একটি ছবি বানাতে চান। দেখা যাক। কোনও ভাল গল্প পাওয়া গেলে কেন নয়?”