ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রিকেট মহলেও নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। ২৪ নভেম্বর সকালে ৮৯ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি কয়েকদিন আগে বাড়িতে পর্যবেক্ষণে ছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবার এখনও কিছু ঘোষণা না করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, আর সেই সঙ্গেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে স্মৃতিচারণা।
৬৫ বছরের কেরিয়ারে ৩০০-র বেশি ছবির নায়ক ধর্মেন্দ্র শুধু পর্দার নায়কই নন; এক যুগের আবেগ, এক প্রজন্মের নস্ট্যালজিয়া। আর সেই কিংবদন্তির প্রস্থান স্পর্শ করেছে ভারতের ক্রিকেট দুনিয়াকেও। সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে ধর্মেন্দ্রকে স্মরণ করেন বিরাট কোহলি। সংক্ষিপ্ত অথচ হৃদয়ছোঁয়া বার্তায় তিনি লেখেন, “আজ আমরা হারালাম ভারতীয় সিনেমার এক সত্যিকারের কিংবদন্তিকে। তাঁর আকর্ষণ, প্রতিভা আর মানবিকতা সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। পরিবারকে শক্তি দিক ঈশ্বর।”

ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে শোকবার্তা জানান প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংও। তিনি লেখেন, “প্রতিটি ঘরেই ছিল এক প্রিয় ধর্মেন্দ্র ছবি। আমাদের বড় হয়ে ওঠার স্মৃতিতে তিনি অমলিন।”
ভারতের আর এক কিংবদন্তি, ‘গড অব ক্রিকেট’ শচীন তেন্ডুলকরও স্মরণ করেন অভিনেতাকে। তিনি লিখেছেন,
“ধর্মেন্দ্রজি-কে দেখলেই মানুষ বুঝতেন, জোরে কথা বলেও তিনি কতটা কোমল। পর্দার শক্তির ভিতরেও ছিল অসাধারণ স্নিগ্ধতা।”
শিখর ধাওয়ানের কথায় আবার উঠে আসে অভিনেতার ব্যক্তিত্বের অন্য দিক, “আপনি শুধু লম্বাইয়ে বড় নন, স্পিরিটেও বড় ছিলেন। ধর্মেন্দ্রজি, ধন্যবাদ শক্তির সঙ্গে দয়া দেখানোর পাঠ শেখানোর জন্য।”
ধর্মেন্দ্র রেখে গেলেন বিশাল পরিবার। স্ত্রী প্রকাশ কৌর, হেমা মালিনী, দুই ছেলে সানি–ববি দেওল, এবং কন্যারা বিজেতা, অজিতা, এষা ও আহনা। তাঁদের পাশাপাশি শোকের স্রোত বইছে দেশের মানুষ, তারকা মহল, ক্রিকেট মাঠ-সব জায়গাতেই।
