বলি অভিনেতা বিজয় বর্মা বর্তমানে তাঁর আসন্ন ছবি ‘গুস্তাখ ইশক’ নিয়ে তুমুল আলোচনায়। পাশাপাশি জোর চর্চা চলছে ছবির সহ-অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে নিয়ে! ছবির প্রথম পোস্টার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই রেট্রো রোম্যান্স ছবিটি অনুরাগীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে। পাশাপাশি দু'জনের সম্পর্ক নিয়েও। বলিপাড়ায় ক্রমশ বাড়ছে দু'জনকে নিয়ে গুঞ্জন। আর এবার ফতিমা সানা শেখ-এর সঙ্গে কাজ করা নিয়ে বিজয় খুলে বললেন নিজের মনের কথা।
বিজয় বর্মাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, কীভাবে তাঁরা সেটে এত সহজে মিশে গেলেন, তিনি হাসিমুখে উত্তর দেন, "একটি দৃশ্যে পুরোপুরি ডুবে থাকতে হয়। ভাগ্যক্রমে, ফতিমা ও আমি মুহূর্তেই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাই। আমরা খুব সহজে বন্ধু হয়ে উঠলাম।"
তাঁদের এই অফ-স্ক্রিন বন্ধন আরও দৃঢ় হয় যখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে তাঁদের দু'জনের রসবোধ প্রায় একই রকম। বিজয় বর্মা বলেন, "ওর (ফতিমা) রসবোধটা বেশ অন্যরকম— আমারও তাই," এবং হেসে যোগ করেন, "আমরা একই ধরনের জোকসে হাসি, আর আমাদের আশেপাশে কেউ বোঝে না কেন আমরা দু'জন হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছি। কখনও কখনও আমাদের হাসি-মজা একটু সমস্যা তৈরি করে ফেলে।"
বিজয় বর্মা স্বীকার করেন যে তাঁদের এই স্বাচ্ছন্দ্য অভিনয়ে সাহায্য করলেও, কখনও কখনও এটি ছবির মেজাজের সঙ্গে খাপ খেত না। তিনি জানান, "আমাদের বন্ধুত্ব দৃশ্যগুলো অনায়াসে করে তুলেছিল, তবে কখনও কখনও এটি বাধা হয়ে দাঁড়াত। কারণ, চিত্রনাট্যে এত ঘনিষ্ঠতা লেখা ছিল না।"
এই প্রেমের গল্পে চরিত্রগুলোর মধ্যে একধরনের দূরত্ব—এক হারানো দিনের প্রেম, কিছু অকথিত বা সংবৃত আবেগ থাকার কথা ছিল। অথচ, তাঁরা দু'জন সব সময় হাসি-ঠাট্টায় মেতে থাকতেন।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে পরিচালক বিভু পুরীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিজয় বর্মা সেই ঘটনাটি উল্লেখ করে বলেন, "বিভু আমাদের কাছে এসে বললেন, তোমরা এত মজা করা বন্ধ করো। এত ঘনিষ্ঠ হবে না— তোমাদের চরিত্রগুলোর এত কাছাকাছি থাকার কথা নয়।"
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বিজয় জানিয়েছিলেন, ফতিমা কতটা স্বচ্ছন্দ, বাস্তব আর নিখুঁত অভিনয়ের প্রতি কতটা নিবেদিত। তাঁর কথায়, “ফতিমার সঙ্গে কাজ করা মানেই স্বস্তি। ও ফুরফুরে হওয়ার মতো...ভীষণ সোজাসাপটা একজন মানুষ। অভিনেত্রী হিসেবেও যথেষ্ট ভাল। আর একইসঙ্গে মজা করতে ভালবাসে, ঠান্ডা মাথার আর কাজের প্রতি ভীষণ একাগ্রতা ওর। শুটিংয়ে প্রতিটা শটেই নিজের ১০০ শতাংশের বেশি দেয়। শটটা ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত শান্ত হয় না।”
প্রসঙ্গত, বিজয় বর্মা 'ডার্লিংস', 'জানে জান', 'দাহাদ' এবং 'মির্জাপুর'-এর মতো প্রজেক্টে নেতিবাচক এবং তীব্র চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন। এখন 'গুস্তাখ ইশক'-এর মাধ্যমে রোমান্টিক চরিত্রে তাঁর এই রূপান্তর নিঃসন্দেহে দর্শকের কাছে নতুন এবং আকর্ষণীয় হবে।
