সংবাদ সংস্থা মুম্বই: নয়ের দশকের অতি পরিচিত মুখ, সলমন-অক্ষয়দের নায়িকা ছিলেন তিনি। সলমনের 'সূর্যবংশী' ছবিতে তাঁর অভিনয় নজর করেছিল দর্শকের। যদিও বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরেই শিবা আকাশদীপ। সম্প্রতি সব সাক্ষাৎকারে বলিউডের নানান পুরনো কথা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শিবা। ২০২৩-এ বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট অভিনীত ছবি 'রকি অউর রানি কী প্রেম কাহিনি'। করণ জোহরের পরিচালিত এই ছবিতে একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেও খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী শিবা আকাশদীপ সাবির। কারণ, ছবিতে তাঁর গালে চুমু খেয়েছিলেন নব্বই ছুঁইছুঁই বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। এরপর আলিয়া ভাটের 'জিগরা'তেও দেখা গিয়েছে শিবাকে।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে শিবা জানালেন এক সময় সইফ ও অমৃতা সিং-এর সঙ্গে তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। এমনকী, তাঁরা পরস্পরের প্রতিবেশীও ছিলেন। কিন্তু একটি ঘটনার পর তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণটা পুরোপুরি বদলে যায়। নেপথ্যে কোন কারণ ছিল জানেন? শিবার কথায়, " সইফের পোষা কুকুর একবার আমার পোষা কুকুরকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে! গোটা ঘটনায় যেমন দুঃখ হয়েছিল, তেমন রাগ-ও হয়েছিল। সইফ নিজে পড়ে এসেছিল সবকিছু মিটমাট করতে, কিন্তু আমি আগ্রহ দেখাইনি। তারপর থেকে আর কোনওদিন সইফের সঙ্গে কথা বলিনি। এর বেশ কিছু পরে যদিও আমার স্বামীর সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল সইফের, ও জিজ্ঞেস করেছিল, 'শিবা কি কোনওদিনও আমাকে ক্ষমা করবে না?' এর কিছুদিন পর ওই জায়গা ছেড়ে আমরা চলে আসি। ওই পোষ্য আমার এত প্রিয় ছিল যে সেই ঘটনার ভার আর সহ্য করতে পারছিলাম না।"
শিবা ১৯৯১ সালে সুনীল দত্তর পরিচালনায় 'ইয়ে আগ কব বুঝেগি' ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ছবিতে সুনীল দত্ত এবং রেখাও ছিলেন।
