এক দাদার যত্নসহকারে তাঁর চার বোনকে আগলে রাখার গল্প বলছে জি বাংলার ধারাবাহিক 'দাদামণি'। দাদা 'সোম'-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রতীক সেন। মা সন্তানদের ছেড়ে চলে গেছে, আর বাবা মদ্যপ। তাই বোনেদের কাছে বাবা-মা উভয়ই সোম অর্থাৎ প্রতীক সেন। স্নেহের বোনেদের বড় করে ভাল ঘরে বিয়ে দেওয়াই তঁর লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যপূরণে সোমের পাশে দাঁড়ায় বড়বোন রত্না। সে পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। নিজের একটা স্কুল গড়ে কোলার স্বপ্ন রয়েছে দুচোখে। যারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত তাদেরকে শিক্ষিত করতে চায় রত্না। 

 

মেজবোন রেশমি একজন খাদ্যপ্রেমী। সে আবার খাবার দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইংরেজিটা অতটা ভাল নয়, কিন্তু ফড়ফড় করে ইংরাজি বলতে সে একেবারে মরিয়া। সোমের সেজবোন রানি হল পরিবারের স্তম্ভ, যাকে বলে হোম মিনিস্টার। বেড রুম থেকে রান্নাঘর তার দখলে। পরিবারে সকলের ছোটবোন রিমলি। সে দাদার নয়ণের মণি। এই চার বোন ও দাদার গল্পই পর্দায় ফুটে উঠছে। 

শুধু দাদা-বোনের সম্পর্কের বন্ধনই নয়, এই ধারাবাহিক বলবে মিষ্টি প্রেমের কাহিনিও। গল্পের নায়িকা পার্বতীকে ছোট থেকেই ভালবাসে সোম। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেনা। বড় হয়েও সোমের ভালবাসা একইরকম পার্বতীর প্রতি। তবে এবার পার্বতীর অমতে তার বিয়ে ঠিক করেছে পার্থসারথি। আর বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে পার্বতী এসেছে সোমের কাছে। 

 

এদিকে, পার্বতীর হাতে বিয়ের কার্ড দেখে সোম কষ্ট পায়। সোম তাকে বলে যে, শেষমেশ তবে তার জন্য বিয়ের নিমন্ত্রণই রয়েছে! সোমের মুখে এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় পার্বতী। জানতে চায় যে, কেন এমন কথা বলল সোম? এমন সময় ছোটবোন রিমলি মুখ ফসকে বলে ফেলে যে পার্বতীর বিয়ের কার্ডে তো অন্য কারওর নয়, সোমের নাম থাকার কথা ছিল। পার্বতী তো আরও অবাক হয়ে যায়। সোমের কাছে সত্যিটা জানতে চায় সে। জানতে চায়, সোম তাকে ভালবাসে কিনা? 

 

আরও পড়ুন: ‘…আমার কাছে গান শিখলেই সারেগামাপা-তে সুযোগ!’ বিস্ফোরক ইমন, ফাঁস করলেন তিক্ত অভিজ্ঞতা

 

সোম মনকে শক্ত করে জানায়, পার্বতীর যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে, তার সঙ্গেই যেন সে সারাজীবন থাকে। এটাই তার ভালবাসার প্রমাণ। সোমের এই ভালবাসার ত্যাগ কি তাকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দেবে? পার্বতীকে কি তাহলে চিরতরে হারিয়ে ফেলবে সোম? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে দর্শকের মনে।

 

 
আজকাল ডট ইন পর্দার সোম-পার্বতীর কাছে বেশকিছু প্রশ্ন রেখেছিল। 'পার্বতী' ওরফে অনুষ্কার চোখে 'দাদামণি' কেমন? প্রতীকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নায়িকার জবাব, "দাদামণি একজন সৎ মানুষ। খানিকটা শিবের মতো। নামটাও তো সোম! এক্ষেত্রে প্রতীকদার কথা বলতেই হবে, এই চরিত্রটা এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে যে খুঁত খুঁজে পাওয়া মুশকিল।" দাদার দায়িত্বে কি নাজেহাল প্রতীক? ঝটতি জবাবে প্রতীক বলেন, "না,না একেবারেই না। চারবোন খুবই বুঝদার। ওদের সঙ্গে সিন না থাকলেও সময় কাটাতে খুব ভাললাগে। এর আগে যে চরিত্রেই অভিনয় করেছি, সব চরিত্রেই কোনও না কোনও দায়িত্ব ছিল। এবার দায়িত্বটা যদিও একটু অন্যরকম, বলা ভাল আরও স্পষ্ট, তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।" ননদদের সঙ্গে ভাব হল? অনুষ্কা মুচকি হেসে বলেন, "হ্যাঁ, ননদরা বেশ ভালই। তবে আমার নজর ছোটটার দিকে। কারণ, বাকিগুলো তো সব বিয়ে করে চলে যাবে। ছোটটা অনেকদিন থাকবে আমাদের সঙ্গে। তাই ওকে হাত করার চেষ্টা করছি।" অনুষ্কার কথা শুনে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থাকেন প্রতীক। একটু থেমে বলেন, "কী সাংঘাতিক! আমার পাশে বসে এসব প্ল্যান করছে। এই বিয়ে ক্যানসেল।" জোরে হেসে ওঠেন অনুষ্কা।