অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে ছন্দে ফিরল 'চিরদিনই তুমি যে আমার'। 'অপর্ণা'র চরিত্রে অভিনয় করা দিতিপ্রিয়া রায় জানিয়েছিলেন তিনি আর এই ধারাবাহিক করতে চান না। তারপর থেকেই নতুন মুখের খোঁজ শুরু হয়। কিছুদিন আগেই দিতিপ্রিয়ার জায়গায় নতুন 'অপর্ণা' হয়ে এন্ট্রি নিয়েছেন মঞ্চ-অভিনেত্রী শিরিন পাল। 

 


নতুন অপর্ণার সঙ্গে প্রথমেই অন্তরঙ্গ দৃশ্যে বেশ সাবলীল জিতু। এমনকী শিরিনকেও ছন্দে দেখা গেল। তবে নতুন নায়িকাকে নিয়ে বেশ চর্চা চলেছে সমাজমাধ্যমে। তবে তাঁকে নতুন 'অপর্ণা' হিসেবে বেশ পছন্দই করেছেন দর্শক। এবার আর্য-অপর্ণার বিয়ের দিকে এগোচ্ছে গল্প। 

 

 

সদ্য মুক্তি পাওয়া ধারাবাহিকের নতুন প্রোমোয় দেখা যায়, অপর্ণার কলেজের রেজাল্ট বেরোনোর পর তার জন্য একটা সারপ্রাইজের আয়োজন করে আর্য। আর্যর সঙ্গী হয় সন্তু। আসলে হবু স্ত্রীকে আংটি পরিয়ে বাগদান সারতে চায় আর্য, তাই-ই এই আয়োজন। আর্যর সারপ্রাইজে দারুণ খুশি অপর্ণাও। আংটি পরিয়ে আর্য অপর্ণাকে জিজ্ঞাসা করে সে কি তাকে বিয়ে করবে? অপর্ণাও আর দেরি না করে জানায়, সে রাজি। এই খুশির মুহুর্তের মাঝেই এসে জোটে বিপদের কালো ছায়া। 

 

হঠাৎই অপুর বাবার হাতে একটা চিরকুট এসে পড়ে। সেখানে লেখা, আর্য সিংহ রায়ের আসল নাম শঙ্কর! এরকম একটা কথা লেখা দেখে চমকে ওঠে অপর্ণার বাবা। সন্দেহ শুরু হয় তার। যদিও অপর্ণাও জানে আর্যর এই নামটা। মেঘরাজ তাকে আগেই জানিয়েছিল এই কথাটা। তবে কি আর্য-অপর্ণার বিয়ের খবর পেয়ে আবারও ফিরে এল মেঘরাজ? নাকি অন্য কেউ রয়েছে এর পিছনে? আর্যই বা কেন নিজের নাম লুকিয়ে রাখবে? অপু কি জানতে পারবে আসল সত্যিটা? প্রোমো দেখে দর্শক মনে আবারও জেগে উঠেছে এইসব প্রশ্ন। 

 


প্রসঙ্গত, সমাজমাধ্যমে প্রথমদিকে শিরিনকে নিয়ে নানা কথা উঠলে নতুন নায়িকার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জিতু। সমাজমাধ্যমে অভিনেতা লিখেছিলেন, 'নিজেরা দেখবেন তারপর বিচার করবেন, দয়া করে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। ভালো না লাগলে,ভালো লাগছে না বলবেন। কোনও অসুবিধা তো নেই। আপনাদের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য, আপনারাই তো আমার ভগবান।
আমার ভয় কিসের! তিন দিন কাজ করলাম, 
দুর্দান্ত অভিনেত্রী।'

 

 

জিতু আরও লিখেছিলেন, 'সত্যি বলছি। ডিরেক্টরকে খুব একটা বেশি খাটতে হবে না। খুব তাড়াতাড়ি ধরে নিতে পারে কাজ। খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে। আর বিবেক-শিক্ষিতা তো,তাই জন্য ওর মধ্যে একটা বিবেক কাজ করে, যে কতটুকু আমি শুনবো আর কতটুকু শুনবো না। খুব সুন্দর হবে আমাদের কাজ এই আশা রাখি। এটাও জানি,আপনারা পাশে ছিলেন এবং পাশে থাকবেন।নতুন শুরু করেছে তাকে উৎসাহিত করবেন। নীচে টেনে নামানোর চেষ্টায় ওর মন ভেঙে দেবেন না।কিছু কিছু মানুষ তবুও করবেন তাদেরকে আর কী বলব বলুন। তারা তাদের কাজ করে যাবেন, আমরা আমাদের কাজটুকু করি। জয় মহাকাল।'