শঙ্কর পরিবারকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রয়াত আনন্দশঙ্কর এবং তনুশ্রীশঙ্করের কন্যা শ্রীনন্দাশঙ্কর। এখন মুম্বই শহরে থাকেন শ্রীনন্দা। হাতে গোনা বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেও এখন নিজের মত ভ্লগিং করেন তিনি। খোলামেলা যাপন, কোনও বিষয়ে রুচিসম্মতভাবে তাঁর সোজাসাপটা কথাবার্তা বলার দরুণ নেটপাড়ায় দারুণ জনপ্রিয় শ্রীনন্দা। শ্রীনন্দা একাধিকবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তিনি ছোটবেলা থেকে খুব সাধারণ ভাবেই মানুষ হয়েছেন। ১৮-১৯ বছর বয়সের পর থেকে কলকাতার বাইরে থাকেন। শঙ্কর পরিবার বা ঐতিহ্য নিয়ে কখনওই মাতামাতি করেননি। তিনি নিজেকে তারকা মনে করেন না। সেইভাবে আলাদা জীবনযাত্রায় বিশ্বাসীও নন। 


সম্প্রতি, একটি কালো রঙের পোশাক পরে, ছবি-ভিডিও তুলে তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন শিল্পী। সেই পোশাক ঈষৎ সাহসী হলেও তাতে মিশে ছিল রুচি। বিস্তর প্রশংসা পাওয়ার পাশাপাশি শ্রীনন্দার উদ্দেশে ভেসে এসেছে ট্রোলও। এক ট্রোলারকে দেওয়া জবাবের মধ্যেই শিল্পী জানিয়েছিলেন, তাঁর মায়ের খুব পছন্দ হয়েছে মেয়ের এই পোশাক।

 

 

আবার এক ট্রোলার মন্তব্য করে বসলেন, "পিসি মানে মম পিসি রেগে যাবে কিন্তু।" মম পিসি মানে যে মমতাশঙ্কর সেকথা বলাই বাহুল্য। মেয়েদের পোশাক নিয়ে বর্ষীয়ান শিল্পীর মন্তব্যে একাধিকবার বিতর্কের পাশাপাশি নিন্দার ঝড় উঠেছে। আর এই কথাতেই মেজাজ হারালেন শ্রীনন্দা। কটাক্ষ করা ওই নেটিজেনকে তাঁর দেওয়া পাল্টা মন্তব্যের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমে নতুন করে পোস্ট করলেন তিনি। পাশাপাশি জুড়লেন নিজের আরও কিছু মনের কথা। সোজাসাপটা ভাবেই। 

ওই ট্রোলারকে শ্রীনন্দা প্রথমে বললেন, “আপনারা একটা কথা আমাকে বারবার কেন বলেন? সব পরিবারের কি সব মানুষ একই রকমের হয়? আপনারা কি আমাকে তার সঙ্গে কখনও দেখেছেন? যখন দেখেননি, তখন দয়া করে সেই তুলনা বা মন্তব্যগুলোও করবেন না।
তিনি যদি আপনাদের কিছু বলে থাকেন, সেটা আমাকে কেন বলা হচ্ছে? আমি কি কোনওভাবে আপনাদের ক্ষতি করেছি? 

আমাকে কি কখনও এমন কিছু করতে দেখেছেন, যা মহিলাদের প্রতি ক্ষতিকর হতে পারে? যদি না দেখে থাকেন, তাহলে আমি ঠিক কীসের জন্য দায়ী? একটু ভেবে দেখুন।”

 


এই মন্তব্যের পাশাপাশি নিজের পোস্টে শ্রীনন্দা লেখেন, “যে দিন আমি পুরোপুরি উপেক্ষা করতে শুরু করব, সে দিন থেকেই আমি আর কোনও কনটেন্টই বানাব না। তাই আমাকে উপেক্ষা করতে বলবেন না।আপনি যদি চান আমি আপনার জন্য কনটেন্ট তৈরি করি, তাহলে আমাকে অন্তত সম্মান করার অনুমতি দিন। ( যদিও এই মন্তব্যটি এটা সবার জন্য নয়।)

এক ইঞ্চি ক্লিভেজ দেখেই যদি এত অস্বস্তি হয়, তাহলে সমস্যাটা আমার নয়।
আমার কনটেন্ট দেখতে পারেন, কিন্তু একজন ভাল দর্শক হওয়ার চেষ্টাও করুন।
আর চাইলে না দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তো আপনার আছে।

আমার দিকে আমার পরিবারের নাম ছুড়ে মারাটা একেবারেই হাস্যকর ও বোকামি।

আমি তো আলাদা। আমি মানে আমি-ই।

আমি যা খুশি পরব...।”

 

 

 

 


এর আগেও শঙ্কর পরিবার নিয়ে বিস্ফোরক হয়েছেন শ্রীনন্দা। মি টু প্রসঙ্গে শ্রীনন্দা বলেছিলেন, "এই যে এত লোক শঙ্কর পরিবারের তুলনা টানেন, মনে রাখবেন এই পরিবারের প্রত্যেকে সমান নয়, ঠিক যেমন হাতের পাঁচটা আঙুল এক হয় না। শঙ্কর বাড়ির অনেক লোক আছেন যারা আজ বেঁচে থাকলে 'মি টু'তে মরে যেত। 'মি টু'র হাত থেকে কিছুতেই বাঁচতে পারত না। আর আমি এমন একজন মানুষ, এরকম কিছু হলে আমি কিন্তু এই শঙ্কর পরিবারের পাশে নয়, বরং সেই মহিলার পাশে দাঁড়াতাম। তাই আমাকে পরিবার নিয়ে বেশি কথা বলতে আসবেন না।” সমাজ মাধ্যমে শ্রীনন্দার এই ভিডিওতে মেয়েকে সমর্থন করে ভালবাসা জানিয়েছেন মা তনুশ্রী শঙ্কর।