শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। জানা গিয়েছে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন পাঞ্জাবের মানসপুত্র। তবে মঙ্গলবার সকালে ছড়িয়েছিল ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর ভুয়ো খবর! এবার এই বিষয়ে কথা বললেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী।
করণ জোহর পরিচালিত 'রকি অউর রানি কী প্রেম কাহানি' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র ও টোটা। আজকাল ডট ইন-কে টোটা রায়চৌধুরী বলেন, "সকালে এই খবরটা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। তারপর যখন সেটা ভুয়ো প্রমাণিত হল, তখন স্বস্তি পেয়েছিলাম। উনি তো ফাইটার। তাই তো ওঁকে হি-ম্যান বলা হয়। আমাদের বিশ্বাস উনি ফিরে আসবেন। আসলে ওঁর এখনও অনেককিছু দেওয়ার আছে। গোটা বিশ্ব ওঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হন। আমরা শিল্পীরা তো সেই তালিকায় আছিই।"
টোটার কথায়, "একসঙ্গে কাজ করে একটা জিনিস বুঝেছি, ধর্মেন্দ্রজি খুব ভাল মনের মানুষ। নিজের কাজটা শেষ হয়ে গেলে কখনও গিয়ে মেকআপ ভ্যানে বসতেন না। বাকিদের কাজ দেখতেন। এটাই তো ওঁর মতো ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে শেখার বিষয়। নতুন-পুরনো সবার সঙ্গে নিজে থেকেই ভাব জমাতেন। মজার গল্প বলতেন। ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাটা খুব অন্য রকম। অনেককিছু শেখার আছে।"
প্রসঙ্গত, সোমবার, ১০ নভেম্বর রাতে সলমন খান থেকে শুরু করে শাহরুখ খান, আরিয়ান খান এক এক করে হাসপাতালে আসেন বর্ষীয়ান অভিনেতাকে দেখতে। অন্যদিকে তাঁর বাড়ির সামনে বসানো হয় ব্যারিকেড। এরপরই রটতে থাকে তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর। রাত পোহাতে, আরও একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
মঙ্গলবার সকাল সকাল ফের রটে যায় ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর। আর বারংবার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিনেতার বাড়ির লোকজন।
হেমা মালিনী এদিন ক্ষোভ উগরে এক্স অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে লেখেন, 'যেটা ঘটছে যে ক্ষমার অযোগ্য। সংবাদমাধ্যম কীভাবে এভাবে ভুয়ো খবর ছড়াতে পারে তাও এমন একজনকে নিয়ে যিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন? এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। পরিবারকে সম্মান দিন। আমাদের প্রাইভেসি দিন।'
কেবল ড্রিমগার্ল নন। গোটা ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁর মেয়ে এষা দেওলও। তিনি ইনস্টাগ্রামে স্টোরি শেয়ার করে লেখেন, 'সংবাদমাধ্যম বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে, ভুল খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল রয়েছেন, সেরে উঠছেন ধীরে ধীরে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি আমাদের পরিবারকে এই সময় প্রাইভেসি দেওয়ার জন্য। আপনাদের সকলের প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। বাবা সেরে উঠছেন।'
প্রসঙ্গত ছয় দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন পাঞ্জাবের মনসপুত্র। উপহার দিয়েছেন শোলে (১৯৭৫), চুপকে চুপকে (১৯৭৫), ইঁয়াদো কি বারাত (১৯৭৩), ইত্যাদির মতো ছবি। কাজ করেছেন রকি অর রানি কী প্রেম কাহানি, ইক্কিস এর মতো ছবিতেও। যদিও ইক্কিস এখনও মুক্তি পায়নি। আগামী ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাবে সেই ছবি।
