মানবিক অ্যাম্মি 

পাঞ্জাবের বিধ্বংসী বন্যা কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের ঘর-বাড়ি। ঠিক এই সময়েই মানবিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠলেন অভিনেতা–গায়ক অ্যাম্মি ভির্ক। ইনস্টাগ্রামে জানালেন, তিনি ও তাঁর টিম একসঙ্গে ২০০টি ঘর দত্তক নিয়েছেন, যাতে ঘরহারা পরিবারগুলো শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই-ই না, ফিরে পায় নতুন করে বাঁচার শক্তি ও মর্যাদা।

 

‘ব্যাড নিউজ’ ছবির অভিনেতা লিখেছেন—“পাঞ্জাবের এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। মানুষকে ছাদহীন অবস্থায় দেখতে আর সহ্য হয় না। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস কেবল আশ্রয় দেওয়া নয়—এটা নতুন করে শুরু করার আশা, মর্যাদা আর সাহস জোগানোর চেষ্টা।” অ্যাম্মির এই উদ্যোগ কেবল তাৎক্ষণিক সাহায্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং দুর্গতদের দীর্ঘমেয়াদি সাপোর্ট দিয়ে তাঁদের জীবনে স্থায়িত্ব ফেরানোর লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে। অ্যাম্মির আসন্ন ছবি ‘নিক্কা জাইলদার ৪’-এর মুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ২ অক্টোবর পর্যন্ত, যাতে পুরো মনোযোগ থাকে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর কাজে। অভিনেতা সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন—“আমরা যেভাবেই পারি, চলুন সবাই মিলে সাহায্যের হাত বাড়াই।”

 


জুনিয়র এনটিআর-এর ‘ড্র্যাগন’

 

ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বড় পরিচালক নামের তালিকায় এখন অবধি দাপটের সঙ্গে রয়েছেন প্রশান্ত নীল। 'কেজিএফ', 'কেজিএফ ২' থেকে 'সালার'— প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে ইতিহাস গড়েছে। এবার সেই পরিচালক ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আরও এক স্বপ্ন-প্রকল্পে— জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘ড্র্যাগন’!

 

খবর, আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ছবির মেগা আন্তর্জাতিক শুটিং শিডিউল— প্রশান্ত নীলের কেরিয়ারে প্রথম। সূত্রের খবর, এই ছবির গল্প আন্তর্জাতিক আবহে তৈরি। যেমন কোলার গোল্ড ফিল্ডস বা খানসার— নীলের স্বকীয় দুনিয়া তৈরির মুনশিয়ানা এবার পৌঁছে যাচ্ছে ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে। তৈরি হচ্ছে ভারতীয় বিনোদন জগতের অন্যতম বিশাল এক বিশ্ব। শুটিং চলবে আগামী বছরের প্রথমভাগ পর্যন্ত, আর ২০২৬ সালের জুনেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘ড্র্যাগন’। এরপরই এনটিআর ঝাঁপিয়ে পড়বেন নেলসনের সঙ্গে অ্যাকশন-থ্রিলার প্রজেক্টে, যা ‘জেলার ২’-এর পর শুরু হবে। অন্যদিকে প্রশান্ত নীলের ঝুলিতে অপেক্ষা করছে আরও দুটি ছবি— ‘সালার ২’ এবং ‘কেজিএফ ৩’! সংক্ষেপে, ‘ড্র্যাগন’ হতে চলেছে ভারতীয় সিনেমার এক অনন্য আন্তর্জাতিক মাত্রা— যা বড়পর্দায় দর্শকদের সামনে হাজির হবে এক অনবদ্য দৃশ্যমান অভিজ্ঞতা হিসেবে।


খালি পায়ে গণেশ-দর্শন সলমনের

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আশীষ শেলার বাড়িতে সোমবার গণেশদর্শনে দেখা গেল স্বয়ং সলমন খান-কে। চারপাশ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা, দেহরক্ষীরা আর গাড়ির লম্বা কনভয়—তবুও ভক্তদের নজর কেড়েছেন ভাইজান তাঁর সরল ভঙ্গির মাধ্যমেই। অনুষ্ঠানের ভাইরাল হওয়া ভিডিও-ছবিতে দেখা গিয়েছে, খালি পায়ে বেদীর সামনে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে ভক্তিভরে প্রার্থনা করছেন সালমান। মাথায় টিকা, হাতে প্রসাদ—আরেক হাতে আশীষ শেলারের দেওয়া গণপতির ফ্রেম। সাদামাটা চেক শার্ট আর নীল প্যান্টে সহজ-সরল লুকেই ধরা দিলেন অভিনেতা।

 

মন্ত্রী আশীষ শেলার এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) ছবি শেয়ার করে লিখেছেন মারাঠিতে— “অভিনেতা সলমন খান আমাদের বান্দ্রা ওয়েস্ট পাবলিক গণেশ উৎসব কমিটির গণপতি দর্শনে এসেছিলেন।” এর আগে গত সপ্তাহেই নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বাপ্পাকে বিদায় জানিয়েছেন সলমন। সেলিব্রিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্য পালা করে বাপ্পাকে কাঁধে তুলে নিয়েছেন, ঢাক-ঢোলের তালে বিদায়ের ভিডিও নিজেই শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা।

উল্লেখ্য, ভাদ্রপদের চতুর্থীতে শুরু হয় এই দশদিনের গণেশচতুর্থী উৎসব, যা আনন্ত চতুর্দশীতে সমাপ্ত হয়।