ডিজে অর্জুন!

‘ধুরন্ধর’-এর দুরন্ত সাফল্যের রেশ যেন এখনও থামছেই না। ছবির প্রশংসা যেমন চলছে বক্স অফিসে, তেমনই তা ছড়িয়ে পড়ছে তারকাদের উদ্‌যাপনেও। সেই তালিকায় এবার নাম জুড়লেন অর্জুন রামপাল। ছবিতে অভিনয়ের পর এবার অন্য ভূমিকায় চমক দেখালেন তিনি, ডিজে হিসেবে!

 

সম্প্রতি গুরগাঁওয়ের এক নাইটক্লাবের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ডিজে কনসোলে দাঁড়িয়ে ধুরন্ধর ছবির অক্ষয় খান্নার ভাইরাল গানের রিমিক্স বাজাচ্ছেন অর্জুন। গান বাজতেই তুমুল উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন উপস্থিত অতিথিরা। অর্জুনও পুরো মুডে নেচে, হাসিতে ভরিয়ে দিয়েছেন ড্যান্স ফ্লোর। গোটা পরিবেশ যেন ‘ধুরন্ধর’-এর এনার্জিতে টইটম্বুর।সিনেমার সাফল্য যেমন দর্শকের উত্তেজনা বাড়িয়েছে, তেমনই তারকাদের আনন্দময় উচ্ছ্বাসও স্পষ্ট করে দিচ্ছে ‘ধুরন্ধর’-এর ঝড় এখনও বহাল তবিয়তে চলছে প্রেক্ষাগৃহে।

 


সলমনের জন্মদিনে চমক 

আগামী শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ৬০-এ পা দেবেন সলমন খান। জন্মদিনের আগেই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন ভক্তরা। তবে শুধু বয়সের মাইলস্টোন নয়, এই জন্মদিনকে আরও বিশেষ করে তুলতে চলেছে সলমনের নতুন ছবির ঝলক। ‘ব্যাটল অফ গলওয়ান’-এর টিজার মুক্তি পাচ্ছে ঠিক তাঁর জন্মদিনেই। ছবি প্রযোজনা সংস্থার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই টিজার তৈরির কাজ চলছিল। অবশেষে ঠিক হয়েছে, সলমনের জন্মদিনের দিনই মুক্তি পাবে এটি। খবর,  টিজারের মাধ্যমে প্রথমবার দর্শকরা দেখতে পাবেন ছবির বিশাল আয়োজন, চোখধাঁধানো সেট আর যুদ্ধের তীব্র আবহ। সঙ্গে থাকবে সলমনের সেই সুপারস্টার আভার উষ্ণতাও যা তাঁর ফ্যানদের মাতিয়ে দিতে বাধ্য করবে। সূত্র আরও জানায়, টিজারের আগে মুক্তি পেতে পারে একটি-দু’টি পোস্টারও। যদিও ঠিক কোন দিনে পোস্টার প্রকাশ পাবে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। সম্ভাবনা রয়েছে ২৫ বা ২৬ ডিসেম্বরের দিকে পোস্টার রিলিজ হয়ে যাওয়ার, এরপরই আসবে বহুল প্রতীক্ষিত টিজার।


আত্মহত্যা হলিউড অভিনেতার 

অভিনেতা জেমস রানসোনে আর নেই। ৪৬ বছর বয়সেই জীবনযুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ালেন বলিউড নয়, হলিউডের এক তুখোড় প্রতিভা। আত্মহত্যা করেছেন ‘দ্য ওয়্যার’, ‘জেনারেশন কিল’ এবং ‘ইট চ্যাপ্টার টু’-র মতো জনপ্রিয় কাজের জন্য পরিচিত এই আমেরিকান অভিনেতা। স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদনজগত। ভক্ত থেকে সহ–অভিনেতা অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মনে করছেন শিল্পীর সংবেদনশীল অভিনয় আর গভীর উপস্থিতির কথা।

 

 

বাল্টিমোরে জন্ম জেমস রানসোনের। বড়পর্দা ও ছোট পর্দা দুই জায়গাতেই তাঁর কেরিয়ার সমান সমৃদ্ধ। জটিল, ভাঙাচোরা, মানসিক টানাপোড়েনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা তাঁকে আলাদা জায়গা দিয়েছিল। হলিউডের বাণিজ্যিক সাফল্যের গতি থেকে একটু দূরেই থাকলেও অভিনয়-দুনিয়ায় তাঁর মর্যাদা ছিল প্রবল। পরিচালক-সহকর্মীরা তাঁকে বলতেন এক ‘ইমোশনাল পাওয়ারহাউস’। জীবনের আড়াল করা অন্ধকারও কখনও লুকোননি জেমস। খোলাখুলিই জানিয়েছিলেন অতীতের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং তা থেকে জন্ম নেওয়া মানসিক সংগ্রামের কথা। নিজের লড়াইয়ের কথা তিনি বলেছিলেন সোজাসুজি।  আর এটাই তাঁকে আরও মানবীয় করে তুলেছিল। তাঁর থেমে যাওয়া জীবনের খবরে তাই শোকের পাশাপাশি উঠে এসেছে আলোচনাও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে, ট্রমা নিয়ে, আর দীর্ঘ সময়ের লড়াইয়ের ক্লান্তি নিয়ে।

 

 

 

 

 

তাঁর চলে যাওয়া ঘিরে সিনেমাজগতে শোকের ঢেউ। সহকর্মীরা স্মরণ করছেন জেমসের অভিনয়ের সততা, শ্রম আর মানবিকতা। অনেকেই লিখেছেন, তিনি শুধু চরিত্র করতেন না, চরিত্র হয়ে উঠতেন। তাঁর কাজ প্রমাণ করে, বড় নায়ক না হয়েও কতটা গভীর ছাপ ফেলা যায়।