সুজিত-মনোজের মিথোলজিক্যাল কমেডি
‘অক্টোবর’, ‘সর্দার উধম’ কিংবা ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’-র মতো সংযত, গভীর আবেগের ছবি যেমন তাঁর ঝুলিতে রয়েছে, তেমনই ভিকি ডোনর বা পিকু-র মতো হালকা অথচ অর্থবহ কমেডি আজও দর্শকের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। বহু বছর পর সেই কমেডির দুনিয়াতেই ফিরতে চলেছেন সুজিত, তাও এমন এক ঘরানায়, যা ভারতীয় সিনেমায় প্রায় অনাবিষ্কৃত।
খবর, সুজিত সরকারের পরবর্তী ছবি হতে চলেছে একটি মিথোলজিক্যাল কমেডি, যেখানে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে মনোজ বাজপেয়ী ও রাজকুমার রাওকে। ছবিটি নিছক হাসির ছবি নয় বরং ভারতীয় পুরাণ, বিশেষ করে ‘মহাভারত’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে নতুন দৃষ্টিতে, কমেডির মোড়কে তুলে ধরার একটি সাহসী প্রয়াস। এক সূত্রের দাবি, “অনেক বছর পর সুজিত সরকার আবার কমেডিতে ফিরছেন, কিন্তু এবার একেবারে নতুন কায়দায়। এমন ধরনের হাস্যরস তিনি খুঁজতে চাইছেন, যা ভারতীয় ছবিতে খুব কমই দেখা গেছে। ২০২৬ সালে ছবির শুটিং শুরু হবে এবং এটি হতে চলেছে ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সবচেয়ে অন্যরকম প্রজেক্ট।”
সূত্র আরও জানাচ্ছে, মহাভারতের সেই নির্দিষ্ট অধ্যায়টিকে সুজিত সরকার নতুন করে ভেঙে দেখবেন কিন্তু মূল কাহিনি বা তার আত্মাকে নষ্ট না করেই। আধুনিক সময়ের সংবেদনশীলতা ও রসবোধের সঙ্গে মিলিয়ে, কাহিনিতে থাকবে ব্যঙ্গ, বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরস এবং এক ধরনের অদ্ভুত কমেডি, যা মনোজ বাজপেয়ী ও রাজকুমার রাওয়ের অভিনয় প্রতিভাকে নিঃসন্দেহে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।এই ছবির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, অত্যন্ত ‘রুটেড’ একটি পুরাণকথাকে আধুনিক দর্শকের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা। হাসি থাকবে, তবে থাকবে ভাবনাও। ঠাট্টা থাকবে, তবে তার আড়ালে প্রশ্নও থাকবে। এটাই সুজিত সরকারের ছবির চেনা ভাষা।
ফের পরিচালনায় বোমান
৬৫ বছর বয়সে এসে পরিচালনায় হাতেখড়ি। চলতি বছর মুক্তি পাওয়া ‘দ্য মেহতা বয়েজ’-এর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে নিজের নতুন পরিচয় তৈরি করেছেন বোমান ইরানি। আর বয়স আরেকটা বছর বাড়ার ঠিক আগের দিনই, আমাদের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি জানালেন, পরের ছবির পরিচালনার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
বোমান জানিয়েছেন, প্রথম ছবির সাফল্য তাঁকে আত্মতুষ্ট করেনি। বরং উল্টো দিকেই টেনে নিয়ে গেছে। অভিনেতা-পরিচালক বললেন, “পারিবারিক ড্রামা পরিচালনার পর আমি খুব সচেতনভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরের ছবিটা হবে একেবারে অন্য ঘরানার। শুধু মানুষ প্রথম ছবিটা পছন্দ করেছে বলে আমি একই ধরনের সিনেমা বানিয়ে যেতে চাই না। আমি সিনেমার ভিন্ন ভিন্ন জগৎ উপভোগ করতে চাই।” এই মুহূর্তটা বোমান পরিবারের কাছেও বিশেষ। কারণ একই বছরে পরিচালনায় ডেবিউ করেছেন তাঁর ছেলে ক্যায়োজ ইরানি। ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ক্যায়োজ়ের প্রথম ছবি সরজমিন, যেখানে অভিনয় করেছেন কাজল, পৃথ্বীরাজ সুকুমারন এবং ইব্রাহিম আলি খান।
আগেভাগেই দৌড় শুরু ‘ধুরন্ধর’-এর
রণবীর সিং-এর বহু প্রত্যাশিত স্পাই থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’ শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে। ছবি ঘিরে দর্শকের উত্তেজনা দিনে দিনে বাড়ছে। ছবি মুক্তির ছয় দিন আগেই শুরু হয়েছে অ্যাডভান্স বুকিং। খবর, ইতিমধ্যেই বেশ ভাল টিকিট বিক্রি করেছে।
স্যাকনিলকের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, দেশের বড় বড় চেইন পিভিআর, আইনক্স ও সিনেপোলিস-এর ২,২৫১টি শোতে প্রায় ৯,১১০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। যদিও ট্রেলার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সামান্য সমস্যা তৈরি করেছে, নির্মাতারা আশাবাদী। মুক্তির পাঁচ দিন আগে থাকায়, অনুমান করা হচ্ছে যে ধুরন্ধর টিকিট বিক্রি আরও শক্তিশালী হবে। বর্তমানে বাজারে থাকা সব ছবির মধ্যে এই ছবির টিকিটের দাম অন্যতম ব্যয়বহুল।
তবে প্রিমিয়াম মূল্যের এই টিকিটে খাবার বা পানীয় অন্তর্ভুক্ত নয়, অর্থাৎ শুধু শো দেখার জন্যই এটি। ছবির টিকিট বিক্রি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে দর্শকরা এখন শুধু সিনেমা দেখার জন্যই গিয়েছেন, আর এই প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার জন্য এই বিশেষ খরচ করতে প্রস্তুত। মুক্তির দিন যত এগোচ্ছে, দর্শক ও সমালোচক উভয়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন যে ধুরন্ধর কি সত্যিই বক্স অফিসে তাকে ঘিরে যে প্রত্যাশা, তার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে কি না।
