সংবাদসংস্থা মুম্বই:
কার্তিকের ‘প্রতিভা’
শোনা যাচ্ছে, ‘লাপাতা লেডিস’-এর সাফল্যের পর প্রতিভা রান্তা-কে দেখা যেতে পারে কার্তিক আরিয়ান-এর বিপরীতে একেবারে অন্য ঘরানার ছবি ‘নাগজিলা’তে! খবর, প্রতিভাই এখন ছবির নায়িকার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে।
সূত্রের আরও খবর, ছবির পরিচালক মৃগদীপ সিং লাম্বা (যিনি ‘ফুকরে’ ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য পরিচিত), এবং প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনস ও মহাবীর জৈন ফিল্মস, প্রথমে এই চরিত্রের জন্য সান্যা মালহোত্রা-কে ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আলোচনা এগোয়নি। ফলে টিম নতুন মুখ খুঁজতে শুরু করে আর সেখানেই উঠে আসে প্রতিভার নাম।একজন ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, “প্রতিভা এখন ফ্রন্টরানার। ওর অভিনয়ে একটা সতেজতা আছে, পর্দায় এখনও অতিরিক্ত এক্সপোজার হয়নি। এটিই ওর সবচেয়ে বড় সুবিধে। মৃগদীপ এবং প্রযোজকরা মনে করছেন, কার্তিকের সঙ্গে নতুন কেমিস্ট্রি তৈরি করার জন্য এটাই সঠিক পছন্দ।”
জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহেই মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে ‘নাগজিলা’-র শুটিং। ছবিতে কার্তিককে দেখা যাবে এক আধা-মানব, আধা-নাগ চরিত্রে, যার জীবনে হাস্যরস, রহস্য আর পৌরাণিক ছোঁয়ার মিশেল। শ্যুটিং শুরু হয়ে যাওয়ায়, এখন টিম দ্রুতই নায়িকার নাম চূড়ান্ত করতে চাইছে। আরও জানা গেছে, প্রতিভা ইতিমধ্যেই ম্যাডক ফিল্মস-এর সঙ্গে একটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ, যা ২০২৬-এর শুরুতেশুশ্যুটে যাবে। তারিখে গন্ডগোল না হলে, তিনিই হবেন ‘নাগজিলা’-র চূড়ান্ত নায়িকা।
‘একা’ করণ
বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী ছবি নির্মাতা করণ জোহর, যিনি একাই লালনপালন করছেন তাঁর দুই সন্তান যশ ও রুহিকে, সম্প্রতি মুখ খুললেন জীবনের সেই অধ্যায় নিয়ে যা তাঁর সবচেয়ে নিঃশব্দ - একাকীত্ব। করণ অকপটে বললেন, জীবনে যত সাফল্যই আসুক, যখন পাশে কাউকে পাওয়া যায় না, তখনই মানুষ সবচেয়ে একা বোধ করে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে একা মুহূর্ত ছিল, যখন দিল্লিতে গিয়ে জাতীয় পুরস্কার নিতে হয়েছিল। সেখানে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় — ‘আপনার সঙ্গে কে আছেন?’ তখন বুঝলাম, আমার তো কেউ নেই! সবাই তাদের পার্টনার নিয়ে এসেছে, আমার মা তখন অসুস্থ, আর বাচ্চারা ছিল খুব ছোট। সেই মুহূর্তে এক ধাক্কায় একাকীত্বটা টের পাই।”
করণের কথায়, “মানুষ আসলে নিজের উচ্চতায়, নিজের সাফল্যের সময়েই সবচেয়ে বেশি একা থাকে। ব্যর্থতার সময়ে পরিবার, বন্ধু, বাচ্চারা পাশে থাকে। কিন্তু যখন আপনি জীবনের চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন, তখন কার সঙ্গে সে সুখ ভাগ করবেন? ফোনটা রেখে এক মিনিট ভেবেছিলাম আজ রাতে কার সঙ্গে উদ্যাপন করব? কার হাত ধরব? একটু প্রশ্রয়, একটু আলতো পিঠ চাপড়ানি, সেটাই তো দরকার ছিল।”
এই নির্মাতা আরও জানান, তিনি এখন সম্পূর্ণ সিঙ্গল, তবে একসময় মন খারাপ হলে নিজের ঘরে বসেই একা খেয়ে নেন, “খাবার টেবিলে বসি না, কারণ সেখানে একাকীত্বটা আরও বড় হয়ে ওঠে। ঘরে বসে টিভি চালিয়ে খাই, তাতে মনটা একটু হালকা হয়।” তবে করণ আশাবাদীও বটে। “ আমি আশা হারায় নি! যদি ভালবাসা ফের আসে, আমি একেবারে শাহরুখ খানের মতো হাত মেলে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত!”
নিজের জীবনের অভাব, একাকীত্ব, সাফল্য ও ভালবাসার মেলবন্ধনে করণ যেন এক বাস্তব জীবনের সিনেমা যেখানে আলো ঝলমলে গ্ল্যামারই সব নয়, আছে এক গভীর নিঃসঙ্গতার ছায়া।
সলমনের ধমক!
‘বিগ বস ১৯’-এর এই সপ্তাহান্তের পর্বে ফের দেখা যাবে সলমন খানের বিস্ফোরক রূপ! নতুন প্রোমোতেই স্পষ্ট যে কোনও ভুল মন্তব্য বা অহংকারকে আর একটুও প্রশ্রয় দেবেন না তিনি।
প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, সলমন খান সরাসরি আক্রমণ করছেন প্রতিযোগী ফারহানা ভাট-কে। সম্প্রতি ফারহানা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তিনি কখনও ছোটপর্দায় কাজ করবেন না এমনকি মন্তব্যের সুরও ছিল তাচ্ছিল্যের। এই মন্তব্যেই রেগে আগুন ‘ভাইজান’।সলমনের তীক্ষ্ণ প্রশ্ন, “ফারহানা, আপনি কী বলছেন সারাক্ষণ? ‘আমি ছোটপর্দায় কাজ করব না’ এটা কী করছেন এখন আপনি? মানুষ এই শো দেখে আমার জন্য, আর আপনাদের চেনে আমার মাধ্যমেই। কিন্তু আজ লজ্জা লাগছে, আমার জন্য মানুষ আপনার মতো কাউকে চিনবে!”এরপরই সলমন বলেন, “এই শো, এই প্ল্যাটফর্ম আপনার জন্য খুব ছোট। আপনি যেতে পারেন, ম্যাডাম। গেট খুলে দাও, বন্ধুরা!”
প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, সলমন শুধু ছোটপর্দা-বিতর্কেই থামছেন না। তিনি ফারহানাকে কঠিনভাবে সতর্ক করছেন গৌরব খান্নার পেশা নিয়ে কটাক্ষ করার জন্যও। সলমনের বক্তব্য স্পষ্ট, “যাঁরা টেলিভিশনে কাজ করেন, তাঁরা প্রতিদিন দর্শকদের ভালবাসা পান। ওদের অপমান করা মানে এই ইন্ডাস্ট্রিকেই অসম্মান করা।”
তবে ফারহানা সত্যিই কি ‘বিগ বস’ ঘর ছাড়বেন, না কি ক্ষমা চেয়ে নতুনভাবে খেলার শুরু করবেন, তা নিয়ে এখনও রহস্য জিইয়ে রেখেছে চ্যানেল। দর্শকরাও এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শনিবার রাতের পর্বের জন্য।
এই সিজনের শুরু থেকেই বিগ বস ১৯ ঘরের ভেতরের সম্পর্ক, জোট আর বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। মাঝে মাঝে বন্ধুত্বের মুখোশ খুলে যাচ্ছে, আবার নতুন করে জোড়া লাগছে সম্পর্কের সেতু। তবে সলমনের এই হুঁশিয়ারি যে ঘরের ভেতরকার হাওয়া বদলে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।
