এবার ওটিটিতে ‘সইয়ারা’
দু’মাস আগে মুক্তির পর থেকেই রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে মোহিত সুরির ‘সইয়ারা’। আহান পাণ্ডে আর আনীত পাড্ডা অভিনীত এই প্রেমকাহিনি ইতিমধ্যেই ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বাধিক আয় করা রোম্যান্টিক ছবি। শুধু তাই নয়, এটি হয়ে উঠেছে ডেবিউট্যান্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনীত সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্রও।এবার বড় পর্দা থেকে সরাসরি ওটিটি। বৃহস্পতিবার নেটফ্লিক্স ঘোষণা করেছে, সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ, শুক্রবার থেকে ছবিটি স্ট্রিম হবে বিশ্বের ১৯০টি দেশে।
পরিচালক মোহিত সুরি জানালেন—“ ‘সইয়ারা’ সবসময়ই আমার কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল ছবি। দর্শকরা যেভাবে বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটিকে আপন করে নিয়েছেন, তা সত্যিই অভাবনীয়। এবার নেটফ্লিক্সে আরও বহু মানুষ কৃষ আর বাণীর প্রেমকাহিনি আবিষ্কার করবেন। প্রেমের গল্প সবসময়ই আলাদা, কারণ এগুলো সার্বজনীন। আশা করি, সইয়ারা পৃথিবীর প্রতিটি কোণে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।”
‘মির্জাপুর’-এ ফিরছে ‘কম্পাউন্ডার’!
অপেক্ষার অবসান। এবার অফিসিয়ালি নিশ্চিত হল—মির্জাপুর: দ্য মুভি-তে ফিরছেন অভিষেক ব্যানার্জি, তাঁর জনপ্রিয় চরিত্র ‘কম্পাউন্ডার’ হয়ে। ছবির ঘোষণার টিজারেই তাঁকে অন্য মূল চরিত্রদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এবার প্রযোজনা সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্রও জানাল, পর্দায় মুন্না ভাইয়ার সঙ্গে তাঁর পুনর্মিলনই হতে চলেছে ছবির অন্যতম আকর্ষণ। শুধু নস্ট্যালজিয়াই নয়, ছবির গল্পে গুরুত্বপূর্ণ মোড় আনবে কম্পাউন্ডারের প্রত্যাবর্তন। ওয়েব সিরিজে তাঁর চরিত্রের আর্ক ছিল জটিল, আবেগঘন আর অপ্রত্যাশিত—যার জন্যই তাঁর রি-এন্ট্রি ঘিরে দর্শকের প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাসের ঝড়। ভক্তদের অনেকে লিখেছেন, এটি ছবির এ যাবৎকালের “সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ।”

সম্প্রতি, এক ভক্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিষেক নিজেই নিশ্চিত করেছেন তাঁর ফেরা, আর তাতেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সিরিজে মুননা ভাইয়া (দিব্যেন্দু)-র সঙ্গে তাঁর তীব্র রসায়ন আজও দর্শকের মনে অমলিন। সিজন ওয়ানের সেই দৃশ্যগুলো এখনও বহু ভক্ত বারবার ঘুরে দেখেন।এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মির্জাপুর: দ্য মুভি-কে ঘিরে হইচই আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রাইম সাগা এবার সিনেমার পর্দায় নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছে।
‘বাগি’-র দৌড়
টাইগার শ্রফের কেরিয়ারকে একধাক্কায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ‘বাগি’ ফ্র্যাঞ্চাইজি। একের পর এক পর্বে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল সিরিজটি। কিন্তু এবার কী হল? কাগজে-কলমে সব ছিল—স্টার পাওয়ার, ধুন্ধুমার অ্যাকশন, দর্শকপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি—তবুও ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত বাগি৪ প্রথম সপ্তাহেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
স্যাকনিলকের সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, মুক্তির ষষ্ঠ দিনে ছবির আয় দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.৯৩ কোটি টাকা (আনুমানিক)। ফলে প্রথম সপ্তাহে মোট আয় ঠেকেছে ৪১.৬৮ কোটি টাকা-তে। অথচ মুক্তির দিনেই ছবিটি খুলেছিল ১২ কোটি টাকা দিয়ে, যা এখনও পর্যন্ত ছবির সর্বোচ্চ একদিনের কালেকশন।
এই নিম্নমুখী গ্রাফই চিন্তায় ফেলেছে ট্রেড অ্যানালিস্টদের। তুলনায় হলিউডের হরর ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দ্য কনজ্যুরিং: লাস্ট রাইটস’ একই দিনে আয় করেছে ২.৫৫ কোটি টাকা। ভারতের বাজারে ছবিটির মোট কালেকশন ইতিমধ্যেই ৬৩.৫৫ কোটি টাকা, যা বা ‘বাগি ৪’-এর থেকে অনেক এগিয়ে। স্পষ্ট, এইবার দর্শকরা বলিউডের বদলে হাত তুলেছেন হলিউডের পক্ষেই।এই পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নির্মাতা সঞ্জয় গুপ্ত। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন— “অরিজিনাল পরিচালক ছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ছবিগুলো একের পর এক মুখ থুবড়ে পড়ছে। প্রযোজকদের জন্য কি এর মধ্যে কোনও শিক্ষার বার্তা লুকিয়ে নেই???”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে টাইগার-শ্রদ্ধা কাপুর জুটির ‘বাগি’ দিয়েই শুরু হয়েছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এরপর একের পর এক কিস্তি সাফল্য আনলেও, ‘বাগি ৪’ যেন সেই ধারাই ভেঙে দিল।
