‘কিং’–এ এবার অক্ষয়!

শাহরুখ খানের বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাকশন-থ্রিলার ‘কিং’–এর শুটিং চলছে পুরোদমে। ইতিমধ্যেই খবর মিলেছে, অভিনয়শিল্পী অভয় বর্মা ও আরশাদ ওয়ার্সিকে পোল্যান্ডে শুটিং করতে দেখা গিয়েছে। এবার অভিনেতা অক্ষয় ওবেরয়ের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ভক্তদের মনে। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অক্ষয় লিখেছেন, তিনি যাচ্ছেন পোল্যান্ডে। আর তাতেই গুঞ্জন তুঙ্গে—তাহলে কি শাহরুখ খানের ‘কিং’–এর টিমে নাম লেখালেন তিনিও?

গুঞ্জনের ওজন বাড়াচ্ছে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে অক্ষয়ের আগের কাজের অভিজ্ঞতা। ‘ফাইটার’ থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজ ‘ফ্লেশ’—একাধিক প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। সেই জুটির মেলবন্ধন থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, সিদ্ধার্থের মেগা-প্রজেক্ট ‘কিং’-এও অক্ষয় ওবেরয়কে দেখা যেতে পারে। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, “হ্যাঁ, পোল্যান্ডেই শুট হচ্ছে ‘কিং’। অক্ষয় ইতিমধ্যেই সেখানকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এবং এক সপ্তাহ রাজধানীতে শুট করবেন।” যদিও অক্ষয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিকঘোষণা আসেনি।


গোঁফ উড়ালেন সলমন!

সলমন খানের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ব্যাটল অফ গলওয়ান’ শেষ হল এক ঝটকায়! মাত্র ৪৫ দিনের টানা শুটিংয়ে লেহ-লাদাখের কঠিন আবহাওয়া জয় করে ছবির কাজ সেরে ফেললেন পরিচালক অপূর্বর লাখিয়া ও তাঁর টিম। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে ছবির নেপথ্যের একগুচ্ছ মুহূর্ত শেয়ার করেছেন পরিচালক অপূর্বর লাখিয়া। কখনও বরফে জমে যাওয়া শরীর, কখনও মরুভূমির উত্তাপে দগ্ধ হওয়া—লাদাখের আবহাওয়া শ্যুটিংকে করেছে ভয়ঙ্কর কঠিন। কিন্তু শেষমেশ ‘ইটস আ ব়্যাপ’ লিখে ঘোষণা করলেন পরিচালক। তাঁর কথায়, “বরফে জমেছি, রোদে পুড়েছি, বালি খেয়েছি, নদীতে হেঁটেছি, অক্সিজেন টেনেছি… তবুও এই স্মৃতিগুলোই হাসি এনে দিচ্ছে।” শুটিং শেষ করেই মুম্বই ফিরে আসেন সলমন।

 

বিমানবন্দরে তাঁর উপস্থিতি ক্যামেরাবন্দি করেছেন পাপারাৎজি। কালো পোশাকে, জ্যাকেট ও ক্যাপ পরে একেবারে নতুন লুকে ধরা দেন তিনি। শুটিং শেষে নিজের গোঁফও কেটে ফেলেছেন অভিনেতা।


কুস্তির আখড়ায় ‘গুড্ডু’ 

‘মির্জাপুর: দ্য মুভি’ নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা ইতিমধ্যেই চরমে। আর এই ছবিতে নিজের চরিত্র গুড্ডু ভাইয়াকে নতুন রূপে তুলে ধরতে একেবারে অচেনা পথে হাঁটছেন আলি ফজল। আধুনিক প্রোটিন শেক আর সাপ্লিমেন্টের চটকদার শর্টকাটকে সরিয়ে রেখে, ভরসা রেখেছেন নিজের পরিবারের পুরনো ঐতিহ্য পেহলওয়ানি অর্থাৎ কুস্তি-র উপর।মির্জাপুরের পর্দায় গুড্ডু ভাইয়ার প্রত্যাবর্তন এবার আরও আগুন ঝরানো হতে চলেছে। চরিত্রের তীব্রতা, দাপট আর শারীরিক শক্তিকে নতুন করে ফুটিয়ে তুলতে আলি ফজল বেছে নিয়েছেন একেবারে আলাদা পথ। প্রোটিন শেক বা আধুনিক ডায়েটকে নয়, ভরসা রেখেছেন নিজের পরিবারের ঐতিহ্যবাহী খাবারের উপর—যেখানে প্রোটিনসমৃদ্ধ দুধ, ঘি, ঋতুভিত্তিক ফলমূল আর শক্তিবর্ধক উপকরণে ভরপুর খাবারই তাঁর শরীর গড়ার মূলমন্ত্র।


আলির পরিবার বহু বছর ধরে পেহলওয়ানি বা ঐতিহ্যবাহী কুস্তির সঙ্গে যুক্ত। ছোটবেলা থেকেই তিনি দেখেছেন কীভাবে শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় আর বিশাল শারীরিক শক্তি তৈরি হয় এই অনুশীলনের মাধ্যমে। সেই কারণেই আলি এবার জিমে আধুনিক সরঞ্জামের পাশাপাশি কুস্তিগিরদের মতোই ট্রেনিং করছেন—মাটি ঘেঁষা ব্যায়াম, ভারী ওজন তোলা, আর তেজি স্ট্যামিনা-বর্ধক রুটিন।