হলিউডে প্রেম নতুন কিছু নয়, কিন্তু যখন টম ক্রুজের মতো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় তারকার সঙ্গে কোনও অভিনেত্রীর নাম জড়ায়, বলাই বাহুল্য তা গোটা দুনিয়া জুড়েই আলোচিত হয়। গত কয়েক মাস ধরে শোনা যাচ্ছিল, ৬৩ বছর বয়সী ‘মিশন ইম্পসিবল’ তারকা আর ৩৭ বছরের ‘ব্যালেরিনা’ অভিনেত্রী আনা দে আরমাস চুটিয়ে প্রেম করছেন। এমনকী, হলিউডের নতুন 'পাওয়ার কাপল' বললেই যাঁদের নাম প্রথমেই উঠে আসত, সেই টম ক্রুজ ও আনা দে আরমাস এবার আলাদা পথে হাঁটছেন। মাত্র ন’মাস নাকি তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন আর তারপরই নাকি এই প্রেমের আগুন নিভে গেল!
‘দ্য সান’ সংবাদমাধ্যমের এক সূত্র জানাচ্ছে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দু’জনের প্রেম শুরু হয়েছিল। বেশ কিছুদিন রোম্যান্সের পর, হঠাৎই তাঁরা নাকি বুঝতে পারেন “ তাঁদের সম্পর্কের স্পার্কটা চলে গিয়েছে।” বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবেই তাই সম্পর্কটা শেষ করেছেন তাঁরা। আর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, “টম আর আনার একসঙ্গে সময়টা খুব সুন্দর কেটেছে। কিন্তু সম্পর্কটা এখন থেমে গিয়েছে নিজের জায়গায়। ওরা বন্ধুই থাকবে, কিন্তু প্রেমে নয়। কারণ ওরা বুঝে গিয়েছে তাদের এই সম্পর্কটা খুব দূর যাবে না।”

অনুরাগীদের কাছে বিষয়টা সত্যিই চমকে ওঠার মতো কারণ কিছুদিন ধরেই তাঁদের বাগদানের গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, দু’জনে একসঙ্গে নতুন একটা ছবিতেও অভিনয় করবেন। বিচ্ছেদের পরেও নাকি তাঁরা ঠান্ডা মাথায়, অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গেই পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন। সেই সূত্রের দাবি, “আনাকে টমের পরের ছবিতেও কাস্ট করা হয়েছে, তাই কাজের সূত্রে দেখা-সাক্ষাৎ চলবেই তাঁদের।” জানিয়ে রাখা ভাল, টম ক্রুজ ও আনা দে আরমাসকে একসঙ্গে দেখা যাওয়ার কথা ছিল ‘ডিপার’ নামের এক সুপারন্যাচারাল থ্রিলারে, যা আপাতত স্থগিত রয়েছে। এছাড়াও ‘প্রেসার’ নামের আরও একটি ছবিতেও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল।
তাঁদের সম্পর্ক জনসমক্ষে আসে এই বছরের শুরুতে, যখন তাঁদের হাত ধরাধরি করে দেখা যায় ভারমন্টের এক রোম্যান্টিক ছুটিতে। তারপর মাদ্রিদ ও লন্ডনের রাস্তায় হাঁটা, ডেভিড বেকহ্যামের ৫০তম জন্মদিনের পার্টি, এমনকি ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ওয়েসিস কনসার্টেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। ভক্তরা ভেবেছিলেন, এই সম্পর্কই হবে টমের জীবনের নতুন অধ্যায়।
কিন্তু ভাগ্যের লিখন যে খানিক অন্যরকম।
‘নাইভস আউট’, ‘নো টাইম টু ডাই’ ও ‘ব্যালেরিনা’-র নায়িকা আনা দে আরমাসের আগে অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।অন্যদিকে, মিশন: ইম্পসিবল-এর নায়ক টম ক্রুজের জীবনে এটি ছিল বিবাহবিচ্ছেদের পর (কেটি হোমসের সঙ্গে) প্রথম বড় প্রেম। এর আগে টমের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন মিমি রজার্স ,নিকোল কিডম্যান এবং কেটি হোমস। কিন্তু হলিউডের এই জনপ্রিয় তারকা জুটির রোম্যান্স শেষ হল নিঃশব্দেই। যেমন নিভে যায় আলো, যখন ছবি শেষ হয়ে যায় বড়পর্দায়।
