গত কয়েকঘণ্টার টানা বৃষ্টি আর তার পরিণাম। মঙ্গল সকালের শহর দেখেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা। জলমগ্ন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জীবন। সকাল থেকেই জমা জল দেখেই বাড়ছিল উদ্বেগ। বেলা বাড়তেই সেই উদ্বেগ, আশঙ্কা সত্যি হয়ে সামনে এসেছে। এই দুর্যোগে কেমন অবস্থা টলিপাড়ার? বন্ধ শুটিং? নাকি এই পরিস্থিতিতেও ফ্লোরে চলছে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন? 

 

 

 

দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন টলিউডের একাধিক তারকা। এই জলমগ্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে শুটিং ফ্লোরে পৌঁছতে হচ্ছে তাঁদের? আজকাল ডট ইন-কে অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য বলেন, "সকাল থেকে জলের অবস্থা দেখে তো মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। যদিও আমাদের ধারাবাহিক কথার শুটিং আজকের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। আসলে ইলেকট্রনিক অনেক জিনিস থাকে ফ্লোরে‌। এই দুর্যোগে যাতে কোনও টেকনিশিয়ানের ক্ষতি না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও পুজোয় আগে এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের একটা বিরাট চাপ থাকে। তবে এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বেরনো খুবই অসুবিধার।"

 

 

 

 

এদিকে চলছে পরশুরামের শুটিং। তাই এই পরিস্থিতিতেও বাড়ি থেকে বেরতে হচ্ছে অভিনেত্রী তৃণা সাহাকে। কিন্তু জলমগ্ন রাস্তাঘাট তাই বেজায় বিপাকে নায়িকা। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তৃণার ঝটতি জবাব, "খুব টেনশন হচ্ছে। জানি না কী করে ফ্লোরে পৌঁছব। বাড়ি থেকে আমাদের ফ্লোর অনেক দূরে। খুব খারাপ পরিস্থিতি।"

 

আরও পড়ুন: 'নিম ফুলের মধু'র পর ছোটপর্দায় ফিরছেন পল্লবী শর্মা! কোন চ্যানেলে নতুন চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে?

 

অন্যদিকে 'জোয়ার ভাটা'র ফ্লোর বসে আছে শ্রুতি দাসের অপেক্ষায়। বাড়ি থেকে সকালে গাড়ি নিয়ে বেরলেও রাস্তায় আটকে অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, "এমন অবস্থা যে সকালে বেরিয়েও পৌঁছতে পারলাম না। এখন আবার প্রোডাকশনের গাড়ি আসছে আমায় নিতে। কীভাবে যাব, কী হবে, কিছুই বুঝতে পারছি না। ফ্লোর বসে আছে আমার জন্য। সাউথের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।"

 

 

অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ও বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। যাবতীয় সমস্ত কাজ বাতিল করতে হয়েছে তাঁকে। ঋতব্রতর কথায়, "বেহালায় জল জমাটা নতুন কিছু নয়। তবে এবার বাড়াবাড়ি হয়েছে। আগের দিন রাতেই টের পেয়েছিলাম ভয়ঙ্কর কিছু হতে চলেছে। কাজে ব্যাঘাত ঘটলে ভাল লাগে না কোনওকিছু।"

 

 

চলছে রুকমা রায়ের 'এসআইটি বেঙ্গল'-এর শুটিং। নিজেই ড্রাইভ করে ফ্লোরে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। রুকমার কথায়, "রাস্তায় দেখছি লোকজন টেম্পো ভাড়া করে অফিস যাচ্ছেন। চারদিকে জলমগ্ন প্যান্ডেল। খুব খারাপ লাগছে। পুজোর আগে এমন হলে কার ভাল লাগে বলুন তো? খুব খারাপ অবস্থা সাউথের। তাও শুটিং তো বন্ধ করাই যাবে না এখন।"

 

 

 

প্রসঙ্গত, বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু চ্যানেলের শুটিং। আকাশ আটের 'আদি শক্তি আদ্যাপীঠ', 'পুলিশ ফাইলস' থেকে শুরু করে জি বাংলার 'দাদামণি' ও 'আনন্দি'‌। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ফ্লোরে শুটিং বন্ধ রাখেনি বেশকিছু ধারাবাহিক।