নিজস্ব সংবাদদাতা: সকাল থেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা আদানপ্রদান চলছে।বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন পাতা শুরু হওয়ার দিন। ১৪৩২-কে স্বাগত জানিয়ে নতুন বছরের শুরুতে কী করছেন টলি তারকারা? ছোটবেলার নববর্ষের স্মৃতি আগলে থাকেন? নাকি এদিনটা কাটান নতুনভাবে?

 


অভিনেতা, পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের কাছে নববর্ষ মানে বাঙালিয়ানা নয়। বাঙালিয়ানাকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকার আরেকটা দিন। তাঁর কথায়, "আমার জন্মদিন পয়লা জৈষ্ঠ্য। ছোট থেকে তাই বাংলা ক্যালেন্ডারটা মনে‌ রাখি। নববর্ষের সন্ধেটা আমার ছোটবেলায় খুব ভাললাগার একটা দিন ছিল। যৌথ পরিবার আমাদের, বাড়িতে নাটকের মহড়া হত, অনুষ্ঠান হত। সঙ্গে মা হালখাতায় কী কী মিষ্টি আনলেন, তা দেখে সবাই মিলে ভাগ করে খাওয়া ছিল। ঠাণ্ডা নিমকি, কড়া পাকের সন্দেশ তখন এগুলো অমৃতের মতো লাগত। আমার জীবনের অনেকটাই ফুটে উঠবে আগামী ছবি 'রাস'-এ। নববর্ষটাও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি ছবিতে।"

 


ব্যবসায়ী পরিবারে বড় হয়ে ওঠা তৃণার। তাই পয়লা বৈশাখ মানে তাঁর কাছে দুর্গাপুজোর মতোই উৎসব।  অভিনেত্রীর কথায়, "বাড়িতে পুজো তখনও হতো, এখনও হয়। এখন কাজের চাপে আমিই থাকতে পারি না। মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসি, তাই এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিষ্টি মুখ চলতো। এখন শুটিংয়ের সময় নববর্ষের দৃশ্য চললে ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে।"

 


রণজয় বিষ্ণুর মতে, বাংলা বছর শুরুটা তাঁর ছোটবেলায় ফিরে যাওয়ার মতো। রণজয়ের কথায়, "মাসির নাচের স্কুলে এদিন অনুষ্ঠান হতো। মামার দোকানে হালখাতার প্রস্তুতি চলতো। আমার দায়িত্ব ছিল মিষ্টির প্যাকেট গোছানো। আর নতুন ক্যালেন্ডার রোল করা। এই কাজটা করতে কী যে ভাল লাগত! এখন এই দিনটা কাজের ফাঁকে কেটে যায়। তবে এ বছর বেশকিছু হালখাতার নিমন্ত্রণ রয়েছে একটা অনুষ্ঠানও রয়েছে, চেষ্টা করব যাওয়ার।"

 


অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষের বাড়িতে এদিন সাবেকি নিয়ম মানা হয়। তাঁর কথায়, "সরস্বতী পুজোর মতো পয়লা বৈশাখেও আমাদের বাড়ির নিয়ম হলো কাঁচা হলুদ বাটা মাখা। দুপুরের খাবারে মাটন মাস্ট। আজ শুটিং আছে কিন্তু বাড়ির খাবারটা আজ খাবই। মা আজ বাঙালি খাবার রান্না করেছেন, সেটাই ফ্লোরে এনেছি। সবার সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হবে।"