নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাংলা গান বা কবিতায় বারে বারে ফিরে এসেছে 'আমি' শব্দ। সেই রেকর্ডের আদি যুগ থেকে আজকের ডিজিটাল দুনিয়া, 'আমি' কখনও হারিয়ে যায়নি। গানে-কবিতায় প্রেমিক,বিরহী, পূজারী, বাবা-মা থেকে সন্তান রূপে ধরা দেয় এই 'আমি। তবে তারা সকলেই নিজেদের মতো করে স্বতন্ত্র ও ভিন্ন। সেই সব ‘আমি’ ও ‘তুমি’দের এবার গানে ও কবিতায় তুলে ধরবেন স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও শোভনসুন্দর বসু। আগামী রবিবার ২২ জুন কলামন্দিরে হবে অনুষ্ঠান।
বেঙ্গল ওয়েব সলিউশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে। বিষয় ভাবনা ও সৃজনশীল পরিচালনা জয় দত্তগুপ্তর। জয় একাধারে কবি এবং গীতিকার। তাঁর কথায় গান গেয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী, শ্রীকান্ত আচার্য, রুপঙ্কর সহ এই প্রজন্মের অনেক শিল্পী। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন অন্যতম মিউজিক কোম্পানির সঙ্গে। জয়ের কথায়, "একজন কবি বা একজন গীতিকারের সমগ্র কাব্য বা সঙ্গীত ভাবনা যে বিষয়গুলি ঘিরে জারিত হয় তার সিংহভাগ জুড়ে থাকে দুটি পরম প্রিয় শব্দ - 'তুমি' আর 'আমি।' যাবতীয় প্রেম, ভালবাসা, মান, অভিমান, ক্রোধ এবং সৌভ্রাতৃত্ব এই দুটি সম্বোধনের হাত ধরেই দাঁড়িয়ে থাকে পরস্পরের মুখোমুখি। বাংলার কবি এবং গীতিকবিরা সেই 'আমি' শব্দকে কতভাবে কত রূপে লিখেছেন, গেয়েছেন। এই 'আমি' কীভাবে ধরা দিয়েছে সেকালের রবি-নজরুল থেকে অধুনা কবীর সুমনের কলমে -তাই নিয়েই অনুষ্ঠান 'অন্য আমি'।"
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত ও সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে মূলত রবীন্দ্র সংগীত গাইতে দেখা গিয়েছে। তবে 'অন্য আমি'র সন্ধ্যায় তাঁদের কন্ঠে যেমন রবীন্দ্রসঙ্গীতও থাকবে, তেমনি স্বাগতালক্ষ্মী কখনও গাইবেন বাংলা গানের অন্যতম মাইলস্টোন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের 'আমি এত যে তোমায় ভালবেসেছি', আবার কাজী নজরুল ইসলামের 'আমি চিরতরে দূরে চলে যাব'-কে ছুঁয়ে যাবেন। তাঁর নিজের রচনায় - 'আমি ধর্মের কাছে নই, মানুষের কাছে নতজানু'ও থাকবে তালিকায়।
সাহেবের কন্ঠে শোনা যাবে সলিল চৌধুরীর 'আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম' থেকে সুধীন দাশগুপ্তর 'আমি কোন পথে যে চলি' কিংবা ভূপেন হাজারিকার - 'আমি এক যাযাবর'। শোভন সুন্দর তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় শোনাবেন জীবনানন্দ (হাজার বছর ধরে), কখনও জয় গোস্বামী (আমি যখন ছোট ছিলাম, খেলতে যেতাম মেঘের দলে) আবার কখনও শামসুর রহমান (আমার পরিচয়)। চিরাচরিত গান-কবিতার আসর নয়, বৈঠকী মেজাজে তিন জনের গান,কবিতার মাঝেই উঠে আসবে নানা অজানা গল্পও।
