এক সময় দুষ্টু ছবির নায়িকা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সানি লিওনি। 'জিসম ২'-এর হাত ধরে বলিউডের এন্ট্রি নিয়েছিলেন সানি লিওন। মাঝেমধ্যেই চর্চায় থাকেন তিনি। আবারও নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অজানা অধ্যায় প্রকাশ করলেন করণজিৎ কৌর বোহরা ওরফে সানি। সম্প্রতি সোহা আলি খানের সঞ্চালিত একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে তিনি স্বীকার করেন, গর্ভধারণ তিনি কখনও চাননি। তাই সন্তানদের জন্য দত্তক ও সারোগেসি—দুই পথই বেছে নিয়েছিলেন তিনি ও তার স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার।
সানির প্রথম সন্তান হল দত্তক নেওয়া কন্যা নিশা। এরপর সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেয় যমজ পুত্র নোয়া ও আসের। এই যাত্রাপথ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সানি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইনি। কিন্তু মা হতে চেয়েছিলাম বরাবরই।তাই দত্তক নেওয়াই ছিল আমার প্রথম ইচ্ছে। একই দিনে আমরা দত্তকের কাগজপত্র জমা দিই এবং সারোগেসির প্রক্রিয়াও শুরু করি।”
আলোচনার এক পর্যায়ে সোহা আলি খান জানতে চান, সারোগেসির অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর অনুভূতি কী ছিল? সানি সোজাসাপ্টা জবাব দেন—“আমরা এত টাকা খরচ করেছি যে… প্রতি সপ্তাহে ফি দিতে হয়েছে। এমনকী গর্ভধারণকারী মায়ের স্বামীকেও কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সেই অর্থে একটি নতুন বাড়ি তৈরি করেছে এবং একটি জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানও করেছে।”

তার কথায় স্পষ্ট, শুধুমাত্র আর্থিক খরচ নয়, পুরো অভিজ্ঞতাই ছিল এক অনন্য যাত্রা। যদিও এতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে, তবুও তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই সঠিক। কারণ সন্তানদের হাসি আর ভালবাসাই তাঁর কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
সানি আরও জানান, মা হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনওই সামাজিক চাপে সিদ্ধান্ত নেননি। বরং নিজের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্তে তিনি এই পথ বেছে নেন। তাঁর মতে, পরিবার গড়ার জন্য গর্ভধারণই একমাত্র পথ নয়, দত্তক ও সারোগেসিও সমান মর্যাদাপূর্ণ ও সুন্দর বিকল্প।
প্রসঙ্গত, সানি লিওনি ও ড্যানিয়েল ওয়েবার দীর্ঘদিন ধরেই বিনোদন জগতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছেন। পেশাগত ব্যস্ততার পাশাপাশি তারা ব্যক্তিগত জীবনেও তিন সন্তানের মা-বাবা হিসেবে নিঃশর্ত ভালবাসা দিয়ে পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সানির এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি আবারও প্রমাণ করল, তিনি নিজের সিদ্ধান্ত ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পান না। বরং সৎভাবে সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নেন, যা অনুপ্রেরণা হতে পারে অনেকের জন্য।
