নিজস্ব সংবাদদাতা: শাস্ত্র মতে ধনতেরাসে দেবী লক্ষ্মী, ভগবান ধন্বন্তরী এবং কুবের দেবের পুজো করলে ঘরে থাকা সম্পদের ভাণ্ডার কখনই শূন্য হয় না। এবছর ২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার ধনতেরাস উদযাপিত হবে৷ এদিন সকাল ১০.৩১ মিনিটে এই তিথি শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০শে অক্টোবর ১.১৫ মিনিটে। এই উৎসবকে সম্পদ এবং সমৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 

 

 

 

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সোনা রুপো কিনলে মা লক্ষীর অশেষ আশির্বাদ পাওয়া যায় এবং সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে বলেই সকলের বিশ্বাস।ধনলক্ষ্মীর কৃপালাভের উদ্দেশ্যে পালিত হয় ধনতেরস অথবা ধনত্রয়োদশী। এই দিন সোনা বা রুপো কেনার প্রচলন রয়েছে। টলিপাড়ার অভিনেত্রীরাও পিছিয়ে নেই এই অনুষ্ঠানে।‌ প্রতিবছর কীভাবে ধনতেরাস পালন করেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়?

 

 

আজকাল ডট ইন-কে তিনি বলেন, "সাধারণত সারাবছর সোনা কিনি। এদিন তাই আর সোনা নয়, সাদা ধাতু কিনি। কখনও আবার ঠাকুরের বাসন কিনি। ঘর সাজানোর আসবাব কিনি। প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রীও থাকে লিস্টে। সোনা বলতে, ঠাকুরের গয়না কিনি।"

 

 

 

সুদীপার কথায়, "ধনতেরাসের দিন কুবেরকে বের করা হয় লকার থেকে। সারাবছর সম্পদ পাহাড়ার জন্য লকারেই রাখা হয় তাঁকে। শুধু এই একটা দিন বের করে লক্ষ্মী দেবীর আসনের নীচে রাখা হয়। কথায় বলে, সারা বছর পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় ঘুরে এদিন মা লক্ষ্মীর পায়ের কাছে বিশ্রাম নেন কুবের। এদিন তাঁকে যে ঘরে বাঁধতে পারবে তাঁর ধন সম্পদ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই এদিন কুবেরের সামনে ঠান্ডা সরবত, মিষ্টি রাখি। আসলে যেগুলো শরীর ঠাণ্ডা করে, বিশ্রামের সময় যা যা প্রয়োজন সব রাখি।"

 

 

 

তিনি আরও বলেন, "ধনতেরাসের দিন অলক্ষ্মী বিদায়ের রীতিও পালন করি। সারা বছর ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালেও, শুধু এই একটা দিন সরষের তেলের প্রদীপ জ্বলে, সঙ্গে লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে বাড়ির চারপাশে প্রদীপটি ঘুরিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়। আসলে এই রীতিগুলো বহু পুরনো। সময়ের হাত ধরে সব বদলালেও চেষ্টা করি এই রীতিগুলো মেনে চলতে।"