নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত কোর্টরুম ড্রামা ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’র উপর ভিত্তি করেই এই ছবি তৈরি করেছেন সৃজিত। আবার সেই ছবিটির অনুপ্রেরণা ছিল হলিউডের বিখ্যাত ছবি 'টুয়েলভ অ্যাংরি মেন'। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এক নামজাদা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ছবির প্রিমিয়ার। ছবির কলাকুশলীরা ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন অপর্ণা সেন, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরী, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, রুক্মিণী মৈত্ররা। 

 

এদিন রুক্মিণী তাঁর ছবির প্রিমিয়ারে পা রাখতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সৃজিত। ‘বিনোদিনী’ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিচালক। তবে প্রিমিয়ারের এই ঝাঁ চকচকে জৌলুসের মধ্যে নিজের একটি আক্ষেপ লুকোননি সৃজিত। সকলের সামনে সে কথা নিজেই জানালেন তিনি। 'বিনোদিনী' নিয়ে প্রশংসার পর সৃজিত রাখঢাক না রেখেই বলে উঠলেন, “বিনোদিনী পেয়েছে ৫৬টি শো এবং আমার ছবি পেয়েছে ৪৯টি শো। অথচ অক্ষয়ের ‘স্কাইফোর্স’ পেয়েছে ৩০৩টি শো। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এটা আসলে একটা অসম লড়াই, যা আমাদের লড়তে হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রত্যেককে পাশে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের একদিন জিততে হবে।”

 

সৃজিত আরও বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের লড়াই আসলে বাংলা ছবির জন্য, সবাই একই লড়াই লড়ে চলেছি।” এর আগেও অন্য ভাষার ছবির বেশি সংখ্যক শো ও প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেতা দেব। অন্যান্য ভাষার ছবির জন্য প্রেক্ষাগৃহ পায় না বাংলা ছবি।  এমনিতেই সিঙ্গেল স্ক্রিন হলের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। এর মধ্যে যদি কম সংখ্যক শো পায় বাংলা ছবি, তা হলে বাংলা ছবির উন্নতি হবে কী করে? মাতৃভাষাকে গুরুত্ব না দিয়ে কেন অন্যান্য ভাষাকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়? এই প্রশ্ন একাধিকবার তোলা হয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি, প্রেক্ষাগৃহ ও শো পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাষার ছবির ধারেকাছেও যেতে পারে না বাংলা ছবি। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ভাল বাংলা ছবি দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারে না। ফলে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গোটা টলিপাড়া।”  

 

বাংলা ছবি গুরুত্ব না পেলে তা যে আখেরে লোকসান গোটা বাংলা ছবি ইন্ডাস্ট্রির, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’-এর প্রিমিয়ারে সেকথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন সৃজিত।