শুক্রবার মুক্তি পেল ধনুষ ও কৃতি স্যানন অভিনীত ‘তেরে ইশক্ মেঁ’। মুক্তির ঠিক আগেই যেন নিজের অতীতে ফিরে গেলেন ধনুষ। বেনারস সফরের কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়ে অভিনেতা জানিয়ে দিলেন, এই শহরটাই তাঁর জীবনের এক অনিবার্য অধ্যায়ের জন্মস্থান। ঠিক এখান থেকেই শুরু হয়েছিল ‘রাঞ্ঝনা’ ছবির ‘কুন্দন’-এর পথচলা।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একগুচ্ছ ছবিতে ধনুষকে দেখা গিয়েছে বেনারসের অলিগলি, গঙ্গার ঘাট, পুরনো চায়ের দোকান-সব পরিচিত মুহূর্তে। কয়েকটি ফ্রেমে ছিলেন পরিচালক আনন্দ এল রাইও। ছবির ক্যাপশনে স্মৃতিমেদুর ধনুষ জানিয়েছেন, কুন্দন এমন এক চরিত্র, যাকে এক দশকেরও বেশি সময় পরেও ছাড়তে পারেননি তিনি। আজও বেনারসের সরু গলিতে মানুষ তাঁকে “কুন্দন” বলে ডাকেন, আর তিনি ফিরে তাকিয়ে হাসেন। একই রাস্তা, একই বাড়ি, একই চায়ের স্বাদ- সব মিলিয়ে যেন জীবনের একটি পূর্ণচক্র। কুন্দনের পর এবার শুরু ‘শঙ্কর’-এর গল্প-‘তেরে ইশক্ মেঁ’।

এই পোস্টেই নজর কাড়ে আরেকটি মন্তব্য। অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুর ধনুষের এই যাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়ে লেখেন, “কী অসাধারণ জার্নি! ব্লকবাস্টার! কাল্ট! লিগ্যাসি!” সঙ্গে হাই-ফাইভ ইমোজিও জুড়েছেন। এদিকে ধনুষও হাসি আর সাদা হৃদয়ের ইমোজি দিয়ে এই প্রশংসার উত্তর দেন। এতেই নতুন করে চর্চা শুরু-এই মন্তব্য কি নিছক সহশিল্পীর প্রশংসা, না কি একটু বেশি কিছু?

কারণ, গত আগস্ট থেকেই ধনুষ ও ম্রুণালের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে। ম্রুণালের ছবি ‘সন অফ সর্দার ২’-এর প্রিমিয়ারে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তার ঠিক আগেই ‘তেরে ইশক্ মেঁ’-এর র্যাপপ পার্টিতেও উপস্থিত ছিলেন ম্রুণাল। উপরন্তু, ইনস্টাগ্রামে ধনুষের বোনদের ফলো করাও জল্পনায় ঘি ঢালায়। যদিও এ বিষয়ে দু’জনেই কড়া গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন।

এদিকে, মুক্তি পাওয়া ‘তেরে ইশক্ মেঁ’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে গুলশন কুমার ও টি-সিরিজ, সঙ্গে কালার ইয়েলো। আনন্দ এল রাই ও হিমাংশু শর্মার প্রযোজনা, ভুষণ কুমার ও কৃষ্ণ কুমারের সমর্থনে তৈরি এই ছবি পরিচালনা করেছেন আনন্দ এল রাই। এ আর রহমানের সুর, ইরশাদ কামিলের গান-সব মিলিয়ে প্রেমের আবহেই মোড়া এই ছবি আজ, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, একযোগে হিন্দি, তামিল ও তেলুগু ভাষায় মুক্তি পেল বিশ্বজুড়ে।
কুন্দনের শহরে ফিরে দাঁড়িয়ে ধনুষ যেন মনে করালেন কিছু চরিত্র শুধু অভিনয় নয়, জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। আর সেই স্মৃতির ঠিক মাঝখানেই জন্ম নিচ্ছে নতুন গল্প।
