আজকাল ওয়েব ডেস্ক: খাস কলকাতার রাস্তায় ভরদুপুরে সস্ত্রীক হামলার মুখে পড়লেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। পোষ্য সারমেয়কে পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময়ই শনিবার দক্ষিণ কলকাতায় এক তিক্ত ঘটনার শিকার হন তারকা দম্পতি। নিজের ফেসবুক পেজে সেই বিষয়ে জানিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন গায়ক। সেখানেই আক্ষেপের সুরে লিখেছেন, “আমার শহরের মানুষগুলো এরকম ছিল না।”

দুর্নিবার এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এদিন ঠিক কী হয়েছিল? ভিডিওতে গায়ক জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের পোষ্যর পরিচর্যা কেন্দ্রে পৌঁছতে হত। তাঁদের যাওয়ার পথেই কয়েকজন রাস্তার কাজ করছিলেন। গাড়ি থেকে তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য হর্ন বাজান দুর্নিবার। কিন্তু তাঁরা সরেননি। আর সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।

ভিডিওতে দুর্নিবার বলেন, “ভরদুপুরে রাস্তার মাঝে কাজ চলছিল। রাস্তায় কোথাও কোনও ‘স্টপ’ চিহ্ন রাখা ছিল না। পাঁচ, ছয়বার হর্ন বাজালেও তাঁরা সরেননি। আমি গাড়ির কাচ খুলে রাস্তা থেকে ওদের সরে যেতে বলি। তখনই আমার উপর তেড়ে এসে প্ররোচনামূলক কথা বলতে থাকে। আমি গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হই।”

দুর্নিবারের দাবি, এরপরই তাঁর উপর চড়াও হয় রাস্তার কাজের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তিরা। বেশ কয়েকজন মিলে গায়কের গলা চেপে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটিতে আহত হয়েছেন গায়ক। ভিডিওতে গলা, হাতের আঘাতের চিহ্ন দেখান তিনি। নিজেকে বাঁচাতে এক হামলকারীর গলাও পাল্টা চেপে ধরেন দুর্নিবার। তাঁর কথায়, “আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার গলায় দাগ। ওঁরা গলা চেপে ধরেছিলেন। আমি এখন ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতের দাগও দেখতে পাবেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের এক জনের গলা আমিও চেপে ধরি। ওঁরা তখন তিন চার জন মিলে রাস্তার উল্টো দিকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান।”

পরিস্থিতি দেখে ততক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন গায়কের স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহরও। এই প্রসঙ্গে দুর্নিবার বলেন, “মোহর গাড়ি নেমেই বলে, সাহস থাকলে আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখান।  উপস্থিত এক মহিলা মোহরকে দু’বার ধাক্কা দেন বলেও জানান গায়ক। মোহরেরও হাতে ব্যথা লেগেছে। ওঁরা একটা কাঠের ডাল নিয়ে তেড়ে আসে। শারীরিকভাবে তেমন আঘাত না পেলেও মানসিকভাবে আমরা বিধ্বস্ত।”

ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে নেতাজি নগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন দম্পতি। ভরদুপুরেও যে এমন হেনস্থার শিকার হতে হবে তা ভেবেই শিউরে উঠেছেন তাঁরা। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলকে সাবধানে থাকার বার্তা দিয়েছেন।