হইহই কাণ্ড 'মিত্তির বাড়ি'-তে। বাড়ির কালীপুজোয় জড়ো হয়েছে পরিবারের সবাই। বাড়ির ছেলে ধ্রুব এদিকে চটে লাল জোনাকির উপর! এর মাঝেই পরিবারে ভাঙনের আঁচ! কী হবে শেষমেশ? জানতে আজকাল টেলিভিশন পৌঁছে গিয়েছিল দাসানি ২ স্টুডিওয়, জি বাংলার 'মিত্তির বাড়ি'র শুটিং ফ্লোরে।
সাজ সাজ রব
সেটে ঢুকতেই বনেদি বাড়ির রেশ। পুজোর আমেজে সেজে উঠেছে চারপাশ। যেন সত্যিই বনেদি বাড়ির ঠাকুর দালান। শুটিংয়ের ভীষণ চাপ, তাই একটুও বিরতি নেই। টানা চলছে একের পর এক দৃশ্য। ঠাকুর দালানের একপাশে গুটিসুটি মেরে বসে পর্দার 'জোনাকি' ওরফে পারিজাত চৌধুরী। প্রথম ধারাবাহিকে কাজ, তাই মন দিয়ে চলছে দৃশ্য ঝালিয়ে নেওয়ার পর্ব। এদিকে এক হাতে ব্ল্যাক কফি আর অন্যহাতে স্ক্রিপ্ট নিয়ে সেটে এলেন দাদুর নাতি অর্থাৎ পর্দার 'ধ্রুব'। আদৃত রায়কে এক ঝলক দেখলে 'উচ্ছেবাবু'র কথা মনে পড়ে। সেই চোখে চশমা, গম্ভীর মেজাজ। যদিও আদল বদলেছে অনেকটা। জোনাকির গলায় একটি গানের দৃশ্যের শুটিং শুরু হবে একটু পরেই। তাই চলছে গান প্র্যাকটিস! গুরু আদৃত, শিষ্যা পারিজাত। কীভাবে গানের কথার সঙ্গে নিজের এক্সপ্রেশন ধরে রাখতে হবে সেই প্রশিক্ষণই চলছে।
আলাপে নায়ক-নায়িকা
পরিচালকের নির্দেশে লাইট বদলানো শুরু। এই ফাঁকেই মুড়ি মাখা হাজির। সন্ধের আড্ডায় মুখোরোচক কিছু না হলে জমে নাকি? তাই মুড়ি মাখা খেতে খেতেই চললো আড্ডা। আদৃতের ঘরে ফেরা, বলা যায়? মুচকি হেসে নায়কের জবাব, "তা বলাই যায়। পরিবারকেন্দ্রিক গল্প বরাবরই টানে আমায়, তাই অনেকটা আশা নিয়ে নতুন কাজ শুরু করেছি।" টিআরপির ওঠাপড়া, সেরা জুটির লড়াই কতটা ভাবায়? আদৃতের কথায়, "আসলে কোনওদিন এগুলো ভেবে কাজ করিনি। ফার্স্ট হয়েই হবে সেটা কখনও ভাবিনি। নিজের বেস্টটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এত অরগ্যানিক বলেই বোধহয় দর্শকের ভালবাসা পেয়েছি।" সেট তো পুরো বনেদি বাড়ির দালান..হাসতে হাসতে আদৃতের জবাব, "রোজ মনে হয় পিকনিক করছি। সবে শুরু হয়েছে। এরপর আরও ভাল বন্ডিং তৈরি হবে।"
বারান্দায় ঘুরে ঘুরে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন পারিজাত। শুটিংয়ের মুহূর্তগুলো ফোনেই ভাগ করছেন মায়ের সঙ্গে। কথা শেষে একগাল হেসে বলেন, "মা-বাবা এত এক্সাইটেড, সমস্ত আপডেট দিতে হয় তাই। রাস্তায় আমার পোস্টার দেখলেই ছবি তুলে পাঠাচ্ছেন। ওঁদের খুশিতে আমিও খুব খুশি।" আদৃতের বিপরীতে প্রথমবার কাজ, ভয় পেয়েছিলেন? লজ্জা পেয়ে পারিজাতের জবাব, "আদৃতের কাজ খুব ভাল লাগত প্রথম থেকেই। ভয় ঠিক করেনি, একটু নার্ভাস ছিলাম। আমাদের প্রথম দেখা হয় প্রযোজনা সংস্থার অফিসে। ওকে দেখেই মনে হয়েছিল চোখের সামনে জলজ্যান্ত সারপ্রাইজ! এত সাহায্য করছে আমায়। খুব ভাল সহ অভিনেতা আদৃত, অনেককিছু শিখেছি ওর থেকে।" জোনাকির সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান? পারিজাতের কথায়, "সত্যি বলতে কী আমি এত চঞ্চল নই। তবে সবসময় পজেটিভ থাকতে চাই, জোনাকির মতোই।"
মুড়ি মাখা শেষ, আলো জ্বলে উঠল ফ্লোরে। কফির কাপ রেখে তড়িঘড়ি ফ্লোরে ছুটলেন নায়ক-নায়িকা।
