স্তনের আকার বাড়ানোর জন্য যে অস্ত্রোপচার করা হয়, তাকে বলা হয় ব্রেস্ট অগমেন্টেশন সার্জারি। এতে স্তনের নিচে সিলিকন ইমপ্লান্ট বসানো হয়, যা অনেক সময় শারীরিক জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অভিনেত্রী এবং মডেল শার্লিন চোপড়া সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন। ১১ নভেম্বর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি নিজের ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একটি ভিডিওতে শার্লিন বলেন, গত কয়েক মাস ধরে তিনি পিঠ, বুক, ঘাড় এবং কাঁধে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন। একাধিক মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তিনি জানতে পারেন, এই দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মূল কারণ তাঁর ভারী ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন, যাতে আগের মতো চলাফেরার স্বাচ্ছন্দ্য, প্রাণশক্তি এবং সহনশক্তি ফিরে পান।
সার্জারির আগে শার্লিন কিছুটা বিচলিত হলেও জানান, তিনি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য অত্যন্ত উৎসাহী। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আরও হালকা লাগছে। নতুন জীবন শুরু করতে আর অপেক্ষা করতে পারছি না’
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে আমি দীর্ঘস্থায়ী পিঠ এবং বুকে ব্যথায় ভুগছিলাম। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝেছি, এর কারণ আমার ভারী ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট। তাই জীবনে নতুন প্রাণশক্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে আজ আমি স্থায়ীভাবে এই ইমপ্লান্টগুলো সরিয়ে ফেলতে চলেছি। আমি একটু নার্ভাস, কিন্তু ভীষণ উত্তেজিতও। প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন আমাকে এবং সার্জনদের আশীর্বাদ করেন।”
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শার্লিন আরও লেখেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আমি মুখের সব ফিলার অপসারণ করেছিলাম, যাতে আমি আমার আসল রূপে ফিরে আসতে পারি। আজ আমি স্তনের ইমপ্লান্ট সরিয়ে ফেলছি—জীবনকে অপ্রয়োজনীয় বোঝা থেকে মুক্ত রাখতে। এই পোস্ট কোনওভাবেই ফিলার বা ইমপ্লান্টের সমালোচনা নয়। এটি শুধুই আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত—নিজেকে যেমন আছি, তেমনভাবে ভালবাসার।’
শার্লিনের এই অভিজ্ঞতা ব্রেস্ট অগমেন্টেশন সার্জারির সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রোপচারের ফলে সংক্রমণ, স্তনে ব্যথা, অনুভূতির পরিবর্তন, ইমপ্লান্ট লিক বা ছিঁড়ে যাওয়া, এমনকি স্কার টিস্যু জমে শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ— এই ধরনের অস্ত্রোপচারের আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জনের সঙ্গে বিস্তারিত পরামর্শ করা উচিত।
