ফের বিতর্কে শার্লি মোদক। নেটমাধ্যমে তুমুল ট্রোল-কটাক্ষের শিকার। প্রশ্ন উঠছে তাঁর রুচিবোধ নিয়েও। আতসকাচেন তলায় ছোটপর্দার অভিনেত্রীকে রেখে চলছে বিস্তর কাটাছেঁড়া। কিন্তু কী কারণে এত জলঘোলা?

সম্প্রতি শহরের একটি নামী ব্র্যান্ডের প্রচারমূলক পার্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন শার্লি। সাদা রঙের অফশোল্ডার টপ এবং পার্পল স্কার্টে কাড়েন নজর। কিন্তু তাঁর সেই পোশাককে ঘিরেই ওঠে নিন্দার ঝড়। নেটিজেনদের একাংশ তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে তাঁকে। ভেসে আসে নোংরা মন্তব্য। এমনকি শুধুমাত্র পোশাকের উপর ভিত্তি করে শার্লির চরিত্রহননেও পিছপা হননি কেউ কেউ। ধারাবাহিকের কাজে ব্যস্ত থাকলেও নিজেকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক চোখ এড়ায় অভিনেতা অভিষেক বসুর স্ত্রীর।

বিষয়টি কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে যাননি শার্লি। বরং আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাফাই দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয়, আমার দর্শকদের কিছু জিনিস জানানো উচিত। কারণ দর্শকদের ভালবাসার জন্য আমার এই জায়গায় এসেছি। তাদের ভালবাসাটা যেমন আমাদের জন্য মূল্যবান, ঠিক তেমনই তাদের খারাপ লাগা বা অপছন্দগুলোও কিন্তু আমাদের কাছে খুব কষ্টদায়ক। সেই কারণে এই ভিডিওটি করা।”

কারও পোশাক নিয়ে শার্লি কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে স্থান-কাল-পাত্র বুঝে জামাকাপড় বেছে নেওয়াকেই তিনি সমর্থন করেন। এরপরেই শার্লি জানান, সেই পার্টিতে পরে যাওয়ার জন্য যে পোশাক তিনি মনে মনে কল্পনা করেছিলেন, তা বাস্তবে তাঁর হাতে আসা পোশাকের সঙ্গে একেবারেই মেলেনি। আর তার জন্য অভিনেত্রী কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁর ডিজাইনারকে। জানিয়েছেন, তাঁর গাফিলতির কারণেই এহেন সমস্যার মুখে পড়েন তিনি।

শার্লি বলেন, “যেদিন আমাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি সেদিনই অর্থাৎ ইভেন্টটির অন্তত ২০ দিন আগে আমার ডিজাইনারকে ফোন করি। জানাই, ইভেন্টের একটা ড্রেস কোড আছে। এবং আমি সেরকমই একটা ড্রেস পরব ভাবছি। তারপর সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক কথোপকথন হয়। অবশেষে আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসি। আমি আমার ডিজাইনারকে পিং করে করে বলি এটা করো, ওটা করো। অতদিন আগে বলা সত্ত্বেও সে ৩ তারিখে ড্রেসের ম্যাটেরিয়াল কিনতে যায় এবং ৪ তারিখে ট্রায়াল দিই। আমার কিছু সমস্যা হয়, ড্রেসটায় আমার কিছু জিনিস অপছন্দ হয়। যেমন আমি ভেবেছিলাম, তেমন হয়নি। ওইটুকু সময়ে যতটুকু বদল করা সম্ভব ছিল, করা হয়। ৫ তারিখে ইভেন্ট ছিল। সেদিন ইভেন্টের আধ ঘণ্টা আগে এসে আমায় ড্রেসটা দেয়।”

শার্লি জানান, তাঁর অপছন্দগুলিকে খানিক সামাল দেওয়া গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রায়াল দেওয়ার সময় পোশাকের ঊর্ধ্বাংশটি ঠিকঠাক দেখতে লাগলেও দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার পর তা অন্য রকম হয়ে যায় বলে দাবি অভিনেত্রীর। তাঁর যুক্তি, এমন অনেক পোশাকই থাকে যা পরার সময় একরকম দেখায়, কিন্তু অনেকক্ষণ গায়ে থাকার পর অন্য রকম হয়ে যায়। শার্লিও সেই সমস্যারই শিকার। মেকআপ রুমে নিজেকে যে ভাবে দেখে বেরিয়েছিলেন, অনুষ্ঠানে পৌঁছনোর পর নাকি বিষয়টা আর সেরকম ছিল না। 

শার্লি বললেন, “আমি যদি কিছু করে থাকি, তারপর সেটা নিয়ে সমালোচনা হলে সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। কিন্তু আমি যেটা করতে চাইনি কিন্তু সেটা হয়ে গিয়েছে, আর সেটার জন্য আমায় খারাপ মন্তব্য শুনতে হচ্ছে। আমার খুব খারাপ লেগেছে।”