সারাজীবন সবার কটু কথায় মুখে কুলুপ এঁটেছে পুতুল। কিন্তু মা হওয়ার পর একেবারে অন্যরূপ তার। মেয়ের গায়ে একটা কটূক্তির আঁচও আসতে দেয় না সে। বিয়ের পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয় পুতুল। কীভাবে লড়াই করে মেয়ের স্বপ্নপূরণ করবে সে? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল এনটি ওয়ান স্টুডিওতে, সান বাংলার 'পুতুল টিটিপি'র শুটিং ফ্লোরে।


'সাপে নেউলে' সম্পর্ক


ফ্লোরে চলছে গোছগাছ‌। এদিকে মেকআপ রুমে তখন হইহই কাণ্ড। পর্দার 'সাপে নেউলে' জুটি এখন আড্ডায় মশগুল। আড্ডা আরও জমল গরম চা আর সিঙারায়। পুতুলকে তো একেবারেই সহ্য করতে পারে না কমলিকা, এখন তো পুরো ভোলবদল! জোরে হেসে 'কমলিকা' ওরফে রূপাঞ্জনা মিত্র বলেন, "সে তো গল্পে। ক্যামেরা অফ হলেই আমরা একদম ৩৬০ ডিগ্রি বদলে যাই। খেয়ালীকে প্রথম দেখেছিলাম 'আলতা ফড়িং'-এ। তখন থেকেই বুঝেছিলাম ওর মধ্যে কাজের খিদে আছে‌। তাই অল্প দিনেই ও আমার খুব কাছের হয়ে উঠেছে।" 'পুতুল' ওরফে খেয়ালী মণ্ডলের কথায়, "প্রথমে ভয় পেতাম রূপাঞ্জনাদিকে। এখন অনেকটা সাবলীল হয়েছি। কী করে এত শান্ত থাকেন সেটে, এই সিক্রেটা জানতেই হবে আমায়।" খেয়ালীর কথার মাঝেই হেসে ওঠেন রূপাঞ্জনা। বলেন, "ফ্লোরে ঢোকার আগে ফোনে সমস্ত রাগ, অভিযোগ উগরে দিয়ে আসি‌। তাই সারাক্ষণ শান্ত থাকি। আবার ফ্লোর থেকে বেরিয়েই আসল রূপ ধারণ করি।" রূপাঞ্জনার জবাবে হেসে ওঠেন ফ্লোর ম্যানেজারও। 

ভিলেনের জয়জয়কার 


মায়ের লড়াই সবসময় চোখে দেখা না গেলেও বোঝা যায়, খেয়ালীর জন্য কখনও লড়তে হয়েছে মাকে? একটু চুপ থেকে নায়িকার জবাব, "সবাই খুব কটাক্ষ করত। আমি যেহেতু গ্রামের মেয়ে, আমার স্বপ্নগুলো অনেকের কাছে হাসির খোরাক ছিল। কেউ না থাকলেও মা সব পরিস্থিতিতে, সব সময় আমার পাশে থাকে। অনেক কঠিন সময় একসঙ্গে পার করেছি।" কথা বলতে বলতে চোখ ছলছল খেয়ালীর। জড়িয়ে ধরে পিঠ চাপড়ে দেন রূপাঞ্জনা। ছেলে তো বড় হচ্ছে, মাকে কতটা আগলে রাখে? রূপাঞ্জনার কথায়, "ও বাবা! খুব হিংসুটে। বড় হলে কী হবে! যদি কোনও ছোট বাচ্চাকে আদর করি, সেটা যদি টিভিতে দেখতে পায়, ব্যস! কথা বলাই বন্ধ করে দেয়।" 'কমলিকা'কে দেখে দর্শক কতটা রেগে যাবেন? কী মনে হচ্ছে? প্রশ্ন শুনে দু'জনেই হেসে লুটোপুটি। খেয়ালী বলেন, "আবারও ভিলেনের জয় জয়কার হবে মনে হচ্ছে।" হাসি থামিয়ে রূপাঞ্জনা বলেন, "খুব রেগে যাবেন দর্শক। রাস্তায় আবারও অনেক খারাপ কথা শুনতে হবে। কিন্তু সব কিছুর জন্য প্রস্তুত 'কমলিকা'‌।"