নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ এপ্রিল মৃত্যু হয় জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মিশা আগরওয়ালের। পরের দিন অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল মিশার মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। বুধবার প্রকাশ্যে এল দিশার মৃত্যুর কারণ। পরিবার সূত্রে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন মিশা। বেশ কয়েক দিন ধরেই নাকি তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পরিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশার ফলোয়ার সংখ্যা নাকি কমতে শুরু করেছিল। কোনওভাবেই ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্স ১ মিলিয়ন হচ্ছিল না। তাই অবসাদে ভুগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই সমাজমাধ্যমের অনুসারীদের ওঠা-পড়া? কী বলছেন টলিউডের তারকা-ক্রিয়েটররা?
আজকাল ডট ইন-কে অভিনেতা, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সায়ক চক্রবর্তী বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা নিজেদের মতো করে কাজ করি। এটা অনেকের রুজি-রুটিও বটে। তবে যদি কোনওভাবে সাফল্য না আসে, তার মানে সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিৎ নয়। আর পৃথিবী থেকেই চলে যাওয়া! এটা তো বড় ভুল। জন্মের সময় কোথায় ছিল ফলোয়ার্স?"
ইনফ্লুয়েন্সার প্রেরণা দাসের কথায়, "সোশ্যাল মিডিয়াকে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য মনের জোর প্রয়োজন। এটা অন্যান্য পেশার থেকে যেমন সম্পূর্ণ আলাদা, তেমন অনিশ্চিতও বটে। তাই সবসময় নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিকল্প রাস্তা ভেবে রাখা উচিৎ। আমরা অনেক পরিশ্রম করে নিজের জায়গাটা তৈরি করি, এত সহজে ছেড়ে যাওয়ার জন্য তো নয়। তাই মনের জোরটা থাকলে এরকম দিন কাউকে দেখতে হতো না।"
অভিনেতা, ক্রিয়েটর রিয়াজ লস্কর বলেন, "একটা সময় সত্যিই ফলোয়ার্স নিয়ে চিন্তা হতো। দিনরাত এক করে কাজ করার পরেও সাফল্য না পেলে খারাপ লাগত। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝলাম ফলোয়ার্সের মোহ কাটাতেই হবে, নয়তো ভাল কাজ করার পরেও আক্ষেপটা থেকেই যায়। মানসিক চাপটা থাকবেই, কিন্তু সেটাকে দূরে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই তো সবচেয়ে বড় সাফল্য।"
অভিনেত্রী, ক্রিয়েটর দেবাদৃতা বসুর কথায়, "সাধারণত, মানসিক চাপ থাকাটাই ভুল। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের প্রত্যেকের কাছেই বিনোদনের মাধ্যম। আমরাও ফলোয়ার্সদের বিনোদনের জোগান দিই। সেখানে যদি ফলোয়ার্সের সংখ্যা না বাড়ে বা কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আমার কাজ পছন্দ হচ্ছে না। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই, ভাল কাজ করার চেষ্টা করতে হবে যাতে পছন্দের তালিকায় জায়গা হয়। এত মানসিক চাপ নিলে তো কাজ করাই বৃথা।"
