সামান্থা রুথ প্রভু এবং পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সম্পর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। এখনও পর্যন্ত যদিও কেউই প্রকাশ্যে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করেননি। তবে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে সামান্থার নতুন ইনস্টাগ্রাম পোস্ট যেন সেই গুঞ্জনকে আরও জোরালো করে তুলেছে।

নিজের সুগন্ধি ব্র্যান্ড ‘সিক্রেট আলকেমিস্ট’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সামান্থাকে রাজের সঙ্গে দেখা যায়। এক ছবিতে তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন। সামান্থা রাজের কোমরে হাত রেখেছেন, রাজও তাঁকে আলতো করে জড়িয়ে রেখেছেন। অন্য ছবিতেও তাঁদের একসঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে। ছবিগুলির মধ্যে একটিতে অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াও উপস্থিত ছিলেন।

ছবিগুলির সঙ্গে সামান্থা লিখেছেন, ‘বন্ধু ও পরিবারের মাঝে ঘেরা। গত দেড় বছরে আমার কেরিয়ারে সবচেয়ে সাহসী কিছু পদক্ষেপ করেছি। নিজের অন্তর্দৃষ্টি এবং পরিশ্রমের উপর ভরসা রেখেছি। আজ সেই ছোট ছোট জয়গুলিকেই উদযাপন করছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে আমার সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁদের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এটা কেবল শুরু মাত্র।’

সামান্থা এবং রাজ একসঙ্গে কাজ করেছেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ এবং ‘সিটাডেল: হানি বানি’-তে। সেই সময় থেকেই তাঁদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। প্রায়ই সামান্থাকে রাজের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায়। কখনও ইভেন্টে, কখনও ছুটির ছবিতে। যদিও দু’জনের কেউই এখনও প্রকাশ্যে সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি।

বর্তমানে সামান্থা রাজ ও ডি.কে-র নতুন প্রজেক্ট ‘রক্ত ব্রহ্মাণ্ড: দ্য ব্লাডি কিংডম’-এ কাজ করছেন, যেখানে আদিত্য রায় কাপুর, আলি ফজল, ওয়ামিকা গাব্বি এবং জয়দীপ আহলাওয়াতও অভিনয় করছেন। সিরিজটি ২০২৬ সালে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে, রাজ ও ডি.কে পরিচালিত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ৩’ আগামী ২১ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে।

দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন সামান্থা এবং নাগা চৈতন্য। তাঁদের প্রেম-বিয়ে একসময় ভক্তদের কাছে রূপকথার গল্পের মতো ছিল। দু’জনের পরিচয় হয় ২০১০ সালে, ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’র সেটে, সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁদের প্রেম। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালে গোয়া এবং হায়দরাবাদে ধুমধাম করে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু সেই সুখের গল্প বেশিদিন টেকেনি। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সামাজিক মাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তাঁরা জানান, ‘আমরা আমাদের পথ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু একে অপরের প্রতি সম্মান এবং শুভেচ্ছা রইল।’ বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গেলেও কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে সামান্থা পরবর্তীতে জানিয়েছেন, এই সময়টা তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় ছিল, কিন্তু তিনি এখন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন নিজের কাজ এবং আত্মোন্নয়নে। তার সঙ্গেই কি এবার নতুন বসন্ত তাঁর জীবনে? উত্তর দেবে সময়।