২০২৫ সালের শুরুতে ভয়াবহ ঘটনার শিকার হন সইফ আলি খান। গত জানুয়ারি মাসে গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খানের বহুতল আবাসনে হামলা চালায় হামলা দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি তারকার। সেই সময় সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এক অনুপ্রবেশকারী। গুরুতর চোট পান নবাব। চিকিৎসকদের মতে, এই আঘাত এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে সইফ সারা জীবনের জন্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারতেন।

ঘটনার পর দ্রুত সইফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, ছুরির আঘাত মেরুদণ্ডের স্নায়ুর একেবারে কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। মিলিমিটারের ব্যবধানে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। যদি আঘাতটি আরও একটু গভীরে যেত, তাহলে হাঁটা-চলা বন্ধ হয়ে যাওয়া বা শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হত শর্মিলা পুত্রের। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়াতেই বিপদ থেকে রক্ষা পান সইফ। জরুরি অস্ত্রোপচার এবং বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেরুদণ্ডের কাছাকাছি আঘাত খুবই সংবেদনশীল বিষয়। এমন চোটের পর পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন হয়। ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে এখনও নিয়মিত চিকিৎসকদের চেকআপে রয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি কাজল ও টুইঙ্কল খন্নার অনুষ্ঠানে এসে সইফ জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর তাঁর পা অসাড় হয়ে গিয়েছিল। পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে যেতে পারতেন। এখনও সেই স্মৃতি তাঁকে করে বেড়ায়। তাঁর মতে, তিনি যেন পুনর্জন্ম পেয়েছেন। 

এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়ে যান সইফের পরিবার এবং অনুরাগীরা। হামলার তিন দিনের মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত। কিন্তু কীভাবে এত বড় একজন তারকার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল? নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।