মুক্তির সময় থেকেই একাধিক সমস্যায় পড়েছিল নবাগত পরিচালক জয়ব্রত দাসের ছবি ‘দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’। ১৪ নভেম্বর এই ছবি মুক্তির কথা থাকলেও তা ফেডারেশন ও ইম্পার সঙ্গে নানান জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণে সেই ছবি প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারেনি। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে ২১ নভেম্বর মুক্তি পায় দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস। আর ছবি মুক্তির পর থেকেই দর্শক-সমালোচক দুই মহলেরই একটি বড় অংশ ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে এই ছবিকে। টলিপাড়ার অনেক পরিচালক-প্রযোজক, অভিনেতারা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, এই সিনেমার হাত ধরে ফের বদলেছে ছবি বানানোর সংজ্ঞা। ছবি দেখার জন্য হল ভরাচ্ছেন দর্শকেরা। ছবিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুখোড় অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালকের গল্প বলার ধরনই আকৃষ্ট করছে দর্শককে। এবার এই ছবিকে প্রশংসার জামা পরিয়ে নিজস্ব ছন্দে টলিপাড়ার ‘সিনিয়র’দের কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না ঋদ্ধি সেন। আর রাজনৈতিক বিশ্বাসে উল্টোপিঠে দাঁড়িয়ে থাকলেও এই জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতার এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ-ও।
ফেসবুকে ঋদ্ধি লিখলেন, “কথা কম, কাজ বেশি”-এই প্রবাদটা সদ্য সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া Jayabrata Das’এর ‘The Academy of Fine Arts’এর ক্ষেত্রে মোক্ষম অর্থে প্রযোজ্য l ভালো লাগা,মন্দ লাগা সিনেমার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত এবং আপেক্ষিক,যেটা জরুরি সেটা হলো কথোপকথনের একটা রাস্তা খুলে দেওয়া,বাতেলাবাজির ফাইন আর্টসের বাংলা বাজারে জয়ব্রত দাস কাজ করেছে পরিশ্রম করে, প্রমোশনের গিমিক আর ফ্লপের সাকসেস উদযাপন করার জন্য পার্টিতে যাওয়া পরিচালকদের এবার নতুন করে ভাবার সময়ে এসে গেছে,একজন নবাগত পরিচালক কোনো বড় প্রযোজনা সংস্থার চোখের মণি না হয়েও হাউসফুল দিতে পারে স্রেফ পরিশ্রম আর সৎ প্রচেষ্টার জন্য, ছবির ভালো দিক,মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা চলবে, মতবিরোধ,মতান্তর থাকবেই এবং সেটাই সুস্থতার লক্ষণ, কিন্তু এই মুহূর্তে যেটা সবার আগে প্রয়োজন সেটা হলো বাংলা চলচ্চিত্র জগতের নিজেদের অলস হাওয়ায় ফোলানো বেলুনটাকে ফাটিয়ে ফেলা,পিনের কাজটা The Academy of Fine Arts করতে অনেকটা সক্ষম হয়েছে l মগজের মেদ ঝরানোর জন্য সিনিয়ররা এবার একটু জিমে যান l
(পোস্টের বানান অপরিবর্তিত রাখা হল।)

ঋদ্ধির এই পোস্টের বার্তা বাক্সে তাঁকে 'ভাই' ডেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রুদ্রনীল। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাল হৃদয়ের ইমোজি।

