জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সদ্য। এবার নতুন ছবির প্রস্তুতি শুরু রানি মুখোপাধ্যায়ের। আসছে ‘মর্দানি ৩’। ‘মর্দানি’-র তৃতীয় কিস্তি ২০২৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। দুই কিস্তিতে তাঁর শক্তিশালী অভিনয়ের পর, রানিকে আরও সাহসী পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে, যে নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ মোকাবিলায় নিবেদিত। ‘মর্দানি ৩’-এর অফিসিয়াল মুক্তির তারিখ এবং প্রথম লুকও প্রকাশ করা হয়েছে।
ইয়াশ রাজ ফিল্মস নিশ্চিত করেছে যে ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পোস্টারে কী দেখা যাচ্ছে? কালো শার্ট আর ডেনিমে শিবাণী শিবাজি রয়ের চেনা ছন্দে রানি। হাতে পিস্তল, চোখে আগুন। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালনের বার্তা নিয়ে আরও একবার দর্শকদের কাছে পৌঁছে যাবে ছবিটি।
রানি জানিয়েছেন, ‘মর্দানি ৩’ হবে একেবারে রুদ্ধশ্বাস টানটান থ্রিলার—শিহরণ জাগানো, ভয়ঙ্কর আর নির্মম। খবর ছড়াতেই নেটিজেন, ভক্ত এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহলের পারদ চড়ছে। ছবিটি মুক্তি পাবে দোলের আগে। মুক্তির এই সময়টাও বিশেষ অর্থ বহন করে—শিবানির ন্যায়ের পথে অবিচল লড়াই আর অশুভ শক্তির সঙ্গে তার সংঘাতের প্রতীক হিসাবেই দোলের আবহ বেছে নেওয়া হয়েছে।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">
View this post on Instagram
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Yash Raj Films (@yrf)
ছবিটি পরিচালনা করছেন অভিরাজ মিনাওয়ালা, যিনি এর আগে ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’, ‘গুন্ডে’, ‘সুলতান’ এবং ‘টাইগার ৩’ ছবিতে কাজ করেছেন। চিত্রনাট্য লিখেছেন আয়ুষ গুপ্ত, যিনি নেটফ্লিক্সের ‘দ্য রেলওয়ে মেন’ সিরিজের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন। এটি ইয়াশ রাজ ফিল্মস-এর জন্য তাঁর প্রথম চিত্রনাট্য রচনা।
এই কপ-ড্রামা ইতিমধ্যেই হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে সফল নারী-প্রধান ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। ‘মর্দানি’ বাণিজ্যিকভাবে যেমন লফল হয়েছে, সমালোচকরাও সমানভাবে প্রশংসা করেছেন। প্রায় এক দশকের যাত্রায় এই ছবির জনপ্রিয়তা শুধু বেড়েছে। ভারতে এটাই একমাত্র বড় ‘ফিমেল কপ ফ্র্যাঞ্চাইজি’।
প্রথম ‘মর্দানি’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে, এরপর ২০১৯-এ আসে সফল সিক্যুয়েল। দুই ছবিই একক নারী-প্রধান ছবির ক্ষেত্রে বক্স অফিসে রেকর্ড গড়েছিল।
রানি মুখার্জির সর্বশেষ ছবি ছিল মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে, যা সমালোচক এবং বাণিজ্যিক—দুই ক্ষেত্রেই বড় সফলতা পেয়েছিল। এই ছবিই তাঁকে এনে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার।