অক্টোবর মাসে জানা গিয়েছিল, রণবীর কাপুর তাঁর ঠাকুরদা কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার রাজ কাপুরের প্রতিষ্ঠিত স্টুডিও—আরকে ফিল্মসকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা করছেন। এখন শোনা যাচ্ছে, অভিনেতা ব্যানারের প্রথম ছবির জন্য ইতিমধ্যেই প্রোজেক্ট চূড়ান্ত করেছেন। গুঞ্জন বলছে, রণবীর আবারও দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন ১৯৫৬ সালের ক্লাসিক ‘ছোরি ছোরি’–র আধুনিক পুনর্নির্মাণে।
রাজ কাপুরের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি ‘ছোরি ছোরি’কে নতুনভাবে উপস্থাপন করে আরকে ফিল্মসকে পুনরায় যাত্রা শুরু করানো—রণবীরের কাছে নিখুঁত পথ বলেই মনে হচ্ছে। এক সূত্র জানায়, রণবীরের টিমে বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তিনি চান, আরকে ফিল্মসের কামব্যাক প্রোজেক্টটি এমন হোক, যেন রাজ কাপুর আজকের ভাষায় এই ছবি বানিয়েছেন।
শোনা যাচ্ছে, রণবীর এই ছবির দায়িত্ব তুলে দিতে চান তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অয়ন মুখার্জির হাতে। সূত্রের দাবি, অয়ন কয়েক মাস ধরে চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন। তিনি প্রোজেক্টটিকে মর্যাদার বিষয় হিসেবে দেখছেন, তাই তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না।
গুঞ্জন বলছে, আধুনিক প্রেমের গল্পটি বিশাল স্কেলে নির্মিত হবে এবং এর একটি বড় অংশ শুট হবে আন্তর্জাতিক লোকেশনে। আরও জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ—রাজ কাপুরের জন্মদিনেই আরকে ফিল্মস নতুন অধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে ছবির কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মহেশ ভাটের ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’–র কাহিনীর সঙ্গে ‘ছোরি ছোরি’–র যথেষ্ট সাদৃশ্য ছিল। যে ছবিটি আবার নির্মিত হয়েছিল হলিউড ক্লাসিক ‘ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট’ অবলম্বনে।
কয়েক দিন আগেই এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর সরাসরি বলিউডের পরিচালক–প্রযোজকদের অনুরোধ করেছিলেনন রণবীর-দীপিকা জুটিকে আবার কাস্ট করতে। রিলে তিনি বলছেন, “এত সবাই মিলে বলেন সিনেমা চলে না, দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসে না। আগে ওদের একসঙ্গে কাস্ট তো করুন! একসঙ্গে প্রকাশ্যে পাশাপাশি তাঁরা দাঁড়ালেই জনমানসে এত আগ্রহ তৈরি করে, বড়পর্দায় তাঁরা একসঙ্গে জুটি হিসাবে ফিরলে কী হবে ভাবতেই পারছি না!”
রিলটি ভাইরাল হওয়া মাত্রই চোখে পড়ে এক চমক -দীপিকা নিজে রিলটি লাইক করেছেন। আর সেই এক ক্লিকেই শুরু হয়ে যায় নতুন জল্পনা। অনেকে লেখেন, ‘দীপিকাও এই বিষয়টি পছন্দ করছেন তাহলে।’ এবার অনুরাগীদের সেই আশাই যেন পূর্ণ হতে চলেছে।
পর্দায় রণবীর-দীপিকার রসায়ন বহুবারই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ‘বাচনা অ্যায় হাসিনো’ থেকে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’—প্রতিটি ছবিতেই তাঁদের উপস্থিতি পর্দায় এক বিশেষ জাদু সৃষ্টি করেছে। দু’জনের স্বচ্ছন্দ অভিনয়, আবেগে ভরা চোখের ভাষা এবং স্বাভাবিক রসায়ন গল্পকে আরও জীবন্ত করে তোলে। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা একসময় সম্পর্কে থাকলেও, বিচ্ছেদের পরও পর্দায় তাঁদের বোঝাপড়া এবং পেশাদারিত্ব প্রমাণ করেছে যে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাঁরা দু’জনেই পেশাদার এবং দক্ষ।
