নিজস্ব সংবাদদাতা: ৯ মে মুক্তি পাচ্ছে রাখি গুলজার অভিনীত ‘আমার বস’। রাখি গুলজার এই ছবি দিয়ে অনেক বছর পরে বাংলা ছবিতে ফিরছেন। আরও ভাল করে বললে, দীর্ঘ ২২ বছর পর বাংলা ছবিতে ফিরলেন রাখি। ছবিতে রাখি ছাড়াও অন্যান্য মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করবেন শিবপ্রসাদ এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও।  ‘আমার বস’-এ বাংলা ভাষার গুরুত্ব থাকবে। গল্প আবর্তিত হবে এক প্রকাশনা সংস্থাকে কেন্দ্র করে। ২০২৪-এর জানুয়ারি  কলকাতায় এসেছিলেন রাখি। টানা শুট করে গিয়েছিলেন এ শহরে। জানেন কি, প্রায় আশি ছুঁয়ে ফেলা এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে প্রতিদিন নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াতেন শিবপ্রসাদের স্ত্রী তথা এ ছবির সৃজনশীল প্রযোজক তথা চিত্রনাট্যকার জিনিয়া সেন।  এবং স্বল্পাহারী হলেও প্রতিদিন কী খাবেন সেই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশ দিয়ে দিতেন রাখি স্বয়ং! 

 

রাখি গুলজার বরাবর-ই পাকা রাঁধুনি। এখনও জমিয়ে রাঁধতে পারেন। আর বাংলা খাবারের প্রতি আজও বড় ভালবাসা বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। তাই বাঙালি খাবারের প্রায় সমস্ত পদের রেসিপির খুঁটিনাটি তাঁর আয়ত্তে। শুটিংয়ের সময়ে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলের কামরা তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা হলেও, সেখানকার খাবার তিনি খেতেন না। অভিনেত্রীর জন্য যত্ন করে নিজের হাতে রাঁধতেন জিনিয়া। খাবারের মেন্যুর তদারকিও যে তিনি-ই করতেন তা বলাই বাহুল্য। মাংস ছুঁয়েও দেখেন না। তবে মাছ খেতে বড় ভালবাসেন রাখি। বিশেষ করে ছোট মাছ। প্রতিদিনের লাঞ্চে তাঁর পাতে তাই থাকত-ই পাবদা, পার্শে অথবা , কৈ, ট্যাংরা মাছের ঝোল। এবং টক ডাল। আমড়া দিয়ে টক ডাল, সুক্তো-র বড় ভক্ত তিনি। রোজকার মেন্যুতে থাকত সেসবও। আসলে, বাড়ির বাঙালি খাবারের বড় অনুরাগী বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। এবং কোন পদের সঙ্গে অথবা পর কী কী খাবেন জানিয়ে দিতেন তা-ও। অর্থাৎ কোন ডালে কী ফোড়ন হবে, কোন মাছের ঝাল হবে না কি ঝোল অথবা বাটি চচ্চড়ি- ধরে ধরে নির্দেশ দিতেন!জানা গেল, রাখি পরিকল্পনা করেছিলেন 'আমার বস'-এর শুটিং শেষে সুন্দরবনে ইউনিটের  সকলকে নিয়ে চড়ুইভাতি করতে যাবেন। নিজেই রাঁধবেন। তবে শেষমেশ সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।