তাঁরা একে অপরের ‘কবেকার চেনা’! নিছক আলাপ থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। রাহুল দেব বসু এবং দেবাদৃতা বসুর ভালবাসা যেন রূপকথার আখ্যান। আরও একবার তাঁদের রসায়ন ফুটে উঠবে পর্দায়। সৌজন্যে নতুন গান ‘কবেকার চেনা’। আরও একবার মিউজিক ভিডিও একসঙ্গে ধরা দেবেন টেলিপাড়ার জনপ্রিয় জুটি।
‘কবেকার চেনা’ গেয়েছেন মহম্মদ ইরফান। সুর দিয়েছেন সুব্রত বারিশওয়ালা। কম্পোজিশনের দায়িত্বে রূপক তিওয়ারি। প্রেমের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা আবেগই এই গানের প্রাণ। রাহুল-দেবাদৃতার সমীকরণ উপরি পাওনা। আরও একবার হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে পর্দায় মুগ্ধতা ছড়াবেন তাঁরা।
রাহুলের কথায়, “নামেই লুকিয়ে আছে গানের নির্যাস। দু’জন মানুষ একে অপরকে এতটাই ভালবাসে যে, তাদের একে অপরের চেয়ে বেশি আর কেউ চিনতে পারে না। তাদের মধ্যে একটা নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। ভালবাসা তৈরি হয়। সেই বন্ধুত্ব, ভালবাসা, নির্ভরশীলতা এমন একটা জায়গায় চলে যায়, যেখানে মৃত্যুও আর তাদের আলাদা করতে পারে না। এটাই হচ্ছে এই গানের থিম। ‘রবে নীরবে’ ছিল বিচ্ছেদ নিয়ে। ‘কবেকার চেনা’ হচ্ছে এমন ভালবাসা নিয়ে যা সময়কে অতিক্রম করে যায়।”
সম্প্রতি আরও একটি মিউজিক ভিডিওয় দেখা যায় রাহুল-দেবাদৃতাকে। সুরিন্দর ফিল্মসের ব্যানারে তৈরি হয় 'রবে নীরবে'। রবি ঠাকুরের এই গানটি গেয়েছেন এবং সঙ্গীত আয়োজন করেছেন স্যমন্তক সিনহা। সেই মিউজিক ভিডিওর গল্প আবর্তিত হয়েছে রাজনীতি এবং কবিতাকে ঘিরে। প্রেমের আমেজের মাঝেই নিঃশব্দে বুনে নেওয়া হয়েছিল বিচ্ছেদের আখ্যান। অভিনয়ের সুবাদে প্রশংসিত হয়েছিলেন রাহুল-দেবাদৃতা।
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় তাঁদের একসঙ্গে দেখেছিলেন দর্শক। ‘আলোর ঠিকানা’ তাঁরা ছিলেন ‘আলো’ আর ‘গৌরব’। কিন্তু পর্দার কল্পনা ছাপিয়ে যে বাস্তবেও তৈরি হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়—তা টলিপাড়ার ভক্তদের কাছে আজ আর অজানা নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন রাহুল-দেবাদৃতা।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক দেবাদৃতার। প্রথমে মঞ্চ, তারপর টেলিভিশন। জি বাংলার ‘জয়ী’ ধারাবাহিক তাঁকে প্রথম পরিচিতি এনে দেয়। এরপর একে একে ‘আলো ছায়া’, ‘শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’, ‘আলোর ঠিকানা’, এবং সাম্প্রতিক ‘মিঠিঝোরা’ আরও বাড়িয়ে তোলে সেই জনপ্রিয়তা।
অন্য দিকে, ‘আলোর ঠিকানা’ ধারাবাহিকে ‘গৌরব’ চরিত্রে নজর কাড়েন রাহুল। ইতিমধ্যেই বড় পর্দাতেও কাজ সারা। ওটিটি-তেও তাঁর অবাধ বিচরণ। নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে।
২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীতে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনেন রাহুল-দেবাদৃতা। রাহুল সোশ্যাল মিডিয়ায় সিঁদুরমাখা ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘গৌরব আলোকে পায়নি, কিন্তু রাহুল দেবাদৃতাকে পেয়েছে।’ রাহুল এবং দেবাদৃতা শুধু টেলিভিশনের পর্দাতেই নয়, বাস্তব জীবনেও আজ একে অপরের অবলম্বন। তাঁদের প্রেমকাহিনি টেলিপাড়ায় নতুন আলো ফেলেছে।
