হুগলির সাংসদ হওয়ার পর ব্যস্ততা যেন আরও বেড়ে গিয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে সব কিছুর মধ্যেও নিজের পরিবার, নতুন পরিবার, ব্যবসা, সঞ্চালনা, সব কিছুই হাসি মুখে সামলাচ্ছেন তিনি। এত ব্যস্ততার মধ্যে প্রথমবার নিজের ফ্ল্যাটে জন্মাষ্টমী পালন করলেন। বহুদিন ধরে ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হয়নি। কিছুদিন আগে গোপাল নিজে এসেছেন তাঁর বাড়িতে। সেই কারণে আর দ্বিতীয় বার না ভেবে বাড়িতে মন দিয়ে জন্মাষ্টমীর পুজো করলেন তিনি। নিজে হাতেই গোপালকে স্নান করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভোগ সাজিয়ে দেওয়া, সবটাই করলেন।
রচনা এমনিতেই জগন্নাথ দেবের ভক্ত। জগন্নাথ পুজো করেন প্রত্যেক বছর। তবে এবার গোপাল আসায় বাড়িতে জাঁকজমক করে জন্মাষ্টমী পালন করলেন তিনি। তবে কী ভাবে গোপাল এলেন তাঁর বাড়িতে? রচনা নিজেই জানালেন সেই কথা। তিনি বলেন, “আমার ইচ্ছে ছিল বাড়িতে গোপাল পুজো করব, ভেবেছিলাম কখনও যদি বাড়িতে আসেন জন্মাষ্টমী পালন করব। কিছুদিন আগে দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে একজন দিদি আমাকে গোপাল দেন, এই প্রথম আমার বাড়িতে সেদিন গোপাল আসেন। সেদিন থেকেই ঠিক করেছিলাম জন্মাষ্টমী পালন করব। এই বছর আমার প্রথমবার জন্মাষ্টমী, পুরোটা নিজে গুছিয়ে নিয়েই করেছি। তবে ইচ্ছে আছে আরও বড় করে জন্মাষ্টমী পালন করব।”
এত ব্যস্ততার মাঝে সবটা নিজে কী ভাবে সামলালেন রচনা? অভিনেত্রীর কথায়, “ইচ্ছে থাকলেই সব উপায় হয়। জগন্নাথের দয়ায় সব কিছুই সামলাতে পারছি আমি। এবার গোপাল এলেন বাড়িতে। আশা করি আরও ভাল করে সব কিছু করতে পারব।”
গোপালের জন্য বিশেষ কী কী ভোগের আয়োজন করেছিলেন রচনা? তিনি জানালেন, গোপালের জন্য তালের ক্ষীর, লুচি, সুজি, নানা ধরনের নাড়ু, ফলাহার সব কিছুই আছে। অভিনেত্রী বলেন, “তবে আমরাও গোপালের সঙ্গে একটু বিশেষ খাওয়া-দাওয়া করছি। আমার কিছু কাছের মানুষজন এসেছেন, খুব বেশি মানুষকে এই বছর আমন্ত্রণ জানাতে পারিনি। প্রথম বার তো তাই ছোট করেই করলাম। পরের বছর আজকে ডেকে আশা করি বড় করে করব জন্মাষ্টমী।”

গোপালকে সাজানোর পাশাপাশি নিজেও সুন্দর করে সেজেছিলেন রচনা। সব নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমী পালন করেছেন হুগলির সাংসদ। এই দিনটা তাই সব কাছ থেকে একটু দূরেই ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও জি বাংলার দিদি নম্বর ওয়ান-এ সঞ্চালনা বন্ধ করেননি তিনি। দু’দিক দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন রচনা। বাংলার অগুনতি মানুষের দিদি হওয়ার পাশাপাশি হুগলির প্রিয় সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। যে কোনও বিশেষ দিনে হুগলিতেই সময় কাটান রচনা। নানা রকম কাজের কারণে প্রায়ই সেখানে থাকেন তিনি। তবে তার মধ্যেও ছেলেকে সময় দেওয়া, নিজের সঞ্চালনা এমনকি একাধিক ব্যবসার কাজ সামলে যাচ্ছেন রচনা। তবে এত কিছুর মধ্যে অভিনয় থেকে কেন দূরে? রচনা জানিয়েছিলেন, যে সময় যেটা করার দরকার, তিনি সেটাই করেন। এক সময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। তবে যখন তাঁর মনে হয়েছে সেখান থেকে সরে আসা উচিত, নির্দ্বিধায় তিনি সরে এসেছেন। তাই এখন যে দায়িত্বগুলি তাঁর উপর আছে, সেগুলি ভাল ভাবে পালন করতে চান রচনা।
