ভোজপুরি তারকা এবং রাজনীতিবিদ পবন সিংকে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন ব্যক্তি ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে এবং বিপুল অঙ্কের অর্থ দাবি করেছে। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে মুম্বই—বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসে, যেখানে নিজেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য পরিচয় দিয়ে সতর্ক করা হয়, এমনকি বলিউড অভিনেতা সলমন খানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ না করারও হুমকি দেওয়া হয়।

সর্বশেষ তথ্যে জানা গিয়েছে, পবন সিং বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির পর মুম্বই পুলিশের কাছে দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, অভিযোগ দু’টি ইতিমধ্যে অ্যান্টি-এক্সটরশন সেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিনেতার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
পবনকে হুমকি দেওয়া ফোনগুলির একটিতে জানানো হয় তিনি যদি সলমন খানের সঙ্গে নির্ধারিত অনুষ্ঠানে মঞ্চে ওঠেন, তবে তাঁকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

পবন ছাড়াও তাঁর কর্মীদের মোবাইলেও একই ধরনের মেসেজ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পবন এবং তাঁর টিম তদন্তে সহায়তার জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসে হাজির হবেন বলে সূত্রের দাবি।

চলতি বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোতি সিংয়ের সঙ্গে পবনের ব্যক্তিগত বিতর্ক সামনে আসে। জ্যোতি একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, পবন তাঁকে লখনউয়ের বাড়িতে ঢুকতে দেননি। ভিডিওয় জ্যোতি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় এবং দাবি করে, তাঁর স্বামীর পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। আবেগে ভেঙে পড়া জ্যোতি এমনকি আত্মহত্যার হুমকিও দেন। পরে অবশ্য পবন সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি স্ত্রীকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কথাও হয়েছে। এরই মধ্যে পবন রিয়্যালিটি শো ‘লাফটার শেফস’ সিজন ৩–এ তারকা অতিথি হিসাবে উপস্থিত হতে চলেছেন।

এর আগে কানাডায় কপিল শর্মার  ক্যাফেতে এক মাসেরও কম সময় দু’বার হামলা চলে। সেখানে ২৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেই জানা গিয়েছিল। 

জানা যায়, সেই হামলা চালিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের লোকজন। কপিল তাঁর শো 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউড তারকা সলমনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই কারণেই নাকি লরেন্সের দলের রোষদৃষ্টিতে পড়েন তিনি। একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে এই হামলা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছিল।

বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে সলমনের শত্রুতা নতুন নয়। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ক্ষোভের মুখে তিনি। লাগাতার প্রাণনাশের হুমিকও পান। গত কয়েক বছর তা আরও বেড়ে যায়। এমনকি সলমনের বাড়িতেও গুলি চলে। তারপর থেকে অভিনেতার নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়