টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমা গরম খবর কী?
‘পতি পত্নী অউর উওহ ২’-এর শুটিং শুরু হতেই বিতর্ক
প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে ‘পতি পত্নী অউর উওহ ২’-এর শুটিং, আর শুরুর সঙ্গেই দেখা দিয়েছে তুমুল নাটকীয়তা। কিছু ভাইরাল ভিডিও অনুযায়ী, শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা ছবির ক্রু সদস্যদের মারধর করেছেন। ছবির প্রযোজকরা এখনও যদিও এ ঘটনার সত্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, তিনজন ব্যক্তি এক ক্রু সদস্যকে প্রহার করছেন। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সারা আলি খান এবং আয়ুষ্মান খুরানা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে লিপ্ত হয়েছেন। সেটি যদিও কোনও দৃশ্যের অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
একটি ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, একটি গাড়ির দৃশ্য শুট করছিলেন এমন এক ক্রু সদস্যের কাছে গিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দু’জন স্থানীয় ব্যক্তি। অভিযোগ, সেখান থেকেই ক্রু সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়দের ঝগড়া বাঁধে এবং পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের মারধর করেন। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে, যিনি প্রহৃত হয়েছেন, তিনি ছবির পরিচালক। কয়েকজন স্থানীয় মানুষ যদিও পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, তবুও অনেকে মারধরে যোগ দেন এবং শেষমেশ ঘটনাস্থলে হাতাহাতি শুরু হয়।
বিগ বস ১৯-এ আমাল মালিকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্ফোরক
সম্প্রতি সম্প্রচারিত বিগ বস ১৯-এর এক পর্বে সঙ্গীত পরিচালক আমাল মালিক তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেন। এবং জানান কেন তিনি শিল্পীকে তাঁর বিয়ের দিন ফোন করেছিলেন। অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় আমাল বলেন, তিনি যখন মঞ্চে পারফর্ম করতে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা ফোন করে তাঁকে আসতে বলেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা এতে রাজি ছিলেন না, তাই তিনি যেতে অস্বীকার করেন।
আমাল বলেন, “যখনই আমাকে হৃদয়ভঙ্গের গান কম্পোজ করতে বলা হয়, আমি নিজেকে সাত বছর আগের সেই সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। তখন আমি মঞ্চে উঠতে যাচ্ছিলাম, আর আমার এক্স বারবার ফোন করে জানাচ্ছিল যে, সে বিয়ে করছে, তবে আমি যদি যাই, তাহলে সে বিয়ে ভেঙে দেবে। কিন্তু মা-বাবা এতে সম্মত ছিলেন না, তাই আমি না বলি। আমি নিজেকে বোঝাই যে আমাকে বাবা-মায়ের সম্মান আগে ভাবতে হবে, আর তাই আমি তাকে ছেড়ে দিই।”
চেন্নাই ফার্মহাউস নিয়ে বিতর্কে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ বনি কাপুর
প্রযোজক বনি কাপুর চেন্নাইয়ের একটি ফার্মহাউসের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। এই ফার্মহাউসটি একসময় তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর ছিল। বনি কাপুরের আইনি আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এক নারী এবং তাঁর দুই ছেলে মিলে অবৈধভাবে ওই সম্পত্তির দখল নিতে চাইছেন।
চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্ট রোডে (ECR) অবস্থিত এই ফার্মহাউসটি শ্রীদেবী ১৯৮৮ সালের ১৯ এপ্রিল ক্রয় করেন। জমিটি মূলত মুদালিয়ার পরিবারের ছিল, যা ১৯৬০ সালে পারিবারিক চুক্তির মাধ্যমে ভাগ করা হয়। সেই ভিত্তিতে শ্রীদেবী আইনি ভাবে এই ফার্মহাউস কেনেন।
যে নারী বর্তমানে জমিটির দাবি করছেন, তিনি দাবি করেন যে, তিনি মুদালিয়ারের এক ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং ১৯৭৫ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে বনি কাপুরের যুক্তি, এই দাবি সঠিক নয়, কারণ ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। ফলে দ্বিতীয় বিয়ে আইনত বৈধ হতে পারে না।
