সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সম্প্রতি, একটি ঘোষণায় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পরেশ রাওয়াল দারুণ চমকে দিয়েছেন তাঁর ভক্তদের । বহুল প্রতীক্ষিত ‘হেরা ফেরি ৩’ থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ঝড় তুলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। প্রথমে গুঞ্জন উঠেছিল, নির্মাতাদের সঙ্গে ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’-এর কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে রবিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিজেই এই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।

 

 

পরেশ স্পষ্ট ভাষায় লেখেন— “আমি পরিষ্কার করে জানাতে চাই, হেরা ফেরি ৩ থেকে আমার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত কোনও রকম ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’-এর জন্য নয়। পরিচালক প্রিয়দর্শনের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও বিশ্বাস রয়েছে।”

 

 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 18, 2025

 

এই পোস্ট সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে আসল কারণ কী? এক অনুরাগী লিখেছেন, “আপনি কি ‘বাবু ভাইয়া’ ইমেজে আবারও আটকে পড়তে চাইছেন না?” আর এক জন আবেগঘন অনুরোধে লেখেন, “তাহলে কী হল? প্রযোজকেরা কি কম পারিশ্রমিক দিচ্ছেন? নাকি আপনি এই চরিত্রে বিরক্ত? ‘হেরা ফেরি’ যদি তিনজন প্রধান চরিত্রের এক জনকে বাদ দিয়ে হয়, তাহলে সেই ছবির কোনও মানেই নেই। দয়া করে আবার ভাবুন!”

অনেকেই বলেন, “ ‘হেরা ফেরি’ মানেই তো বাবু রাও! রাজু আর শ্যামের প্রাণশক্তিই ছিল ওঁর সংলাপ আর উপস্থিতি। ওঁকে বাদ দিলে সব ফিকে হয়ে যাবে।”

 

পরেশের ঘোষণা সামনে আসতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ‘বাবু রাও’ না থাকলে, হেরা ফেরি নয়’ দাবি। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, হেরা ফেরি ৩ পুরো বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

 

২০০০ সালে প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘হেরা ফেরি’, যেখানে পরেশ রাওয়াল, অক্ষয় কুমার ও সুনীল শেট্টি—এই ত্রয়ীর কেমিস্ট্রি হয়ে ওঠে কিংবদন্তি। ‘বাবুরাও আপটে’-র চরিত্রে পরেশের কমিক টাইমিং আজও অবিস্মরণীয়। ২০০৬ সালে ‘ফির হেরা ফেরি’-ও হয় সুপারহিট। যদিও সমালোচকরা প্রথম ছবির মতো প্রশংসা করেননি, তবে দর্শকদের ভালোবাসায় ছবিটি ‘কাল্ট ক্লাসিক’ হয়ে ওঠে।

 

তবে ‘হেরা ফেরি’র বাইরেও পরেশ ও প্রিয়দর্শন জুটি আবার এক হচ্ছেন 'ভূত বাংলো' নামের এক হরর-কমেডিতে, যেখানে থাকছেন অক্ষয় কুমার ও তাবুও। ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২৬ সালে। এছাড়াও তিনি রয়েছেন ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ ছবিতেও।