আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কেরিয়ারের মধ্যগগনেই বিশ্ববিখ্যাত হলিউড কোয়েন্টিন টারান্টিনো ঘোষণা করেছিলেন নিজের দশম ছবি পরিচালনার পর তিনি অবসর নিতে ইচ্ছুক। ‘জ্যাংগো আনচেইন্ড’, ‘কিল বিল’, ‘পাল্প ফিকশন’, ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস’-এর মতো জনপ্রিয় এবং অস্কারজয়ী ছবির পরিচালক টারান্টিনো। শোনা যাচ্ছে, কেরিয়ারের দশম তথা শেষ ছবি তিনি পরিচালনা করবেন আরও এক বিশ্বখ্যাত তথা অস্কারজয়ী পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে!
হলিউডে জোর খবর, সেখানে শুরু হতে চলেছে এক অভাবনীয় জুটির অধ্যায়! দুই কিংবদন্তি পরিচালক —ক্রিস্টোফার নোলান ও কুয়েন্টিন টারান্টিনো একসঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করছেন একটি বাস্তব-মনস্তত্ত্বের রহস্যজালে মোড়া ক্রাইম থ্রিলার। নাম 'ইকোস ওফ ভায়োলেন্স'। গল্পের প্রেক্ষাপট সাতের দশকের লস অ্যাঞ্জেলস। সেই সময়ে এক নৈতিকভাবে দ্বিধাগ্রস্ত গোয়েন্দা একের পর এক খুনের তদন্তে নেমে আচমকা আটকে যায় এক টাইম লুপে। বাস্তব, সময় আর স্মৃতির দোলাচলে এগোয় জটিল রহস্য। সময় আর বাস্তবের সীমারেখা ধুয়ে যায়, তৈরি হয় টানটান এক মনস্তাত্ত্বিক থ্রিল।
সূত্রের খবর, নোলান সামলাবেন ছবি ভিজ্যুয়াল আর জটিল টাইমলাইন—যেখানে থাকবে তাঁর সিগনেচার টাইম বেন্ডিং এলিমেন্ট। অন্যদিকে টারান্টিনোর হাতে থাকবে স্ক্রিপ্ট, সংলাপ ও চরিত্রের গভীরতা, সঙ্গে সত্তর দশকের দৃষ্টিনন্দন রেট্রো টাচ। সেই অদ্বিতীয় রেট্রো-স্টাইল—যা দর্শককে অতীতেও নিয়ে যায়, আবার বাস্তবেও গেঁথে রাখে।
নোলানের ছবি মানেই, সেখানে বিশ্বের প্রথম সারির চর্চিত অভিনেতাদের ভিড়। টারান্টিনোর ছবি মানেও কম বেশি তাই। এ বারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। ছবির দুই মুখ্যচরিত্রের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং ক্রিশ্চিয়ান বেল, যা শোনামাত্রই দর্শকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোড়ন উঠে। ছবির অন্যান্য কাস্টও চমকে দেওয়ার মতোই—জোসেফ গর্ডন-লেভিট, মার্গট রবি ও ক্রিস্টফ ওয়াল্টজ। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে একসঙ্গে কাজ করবেন হ্যান্স জিমার ও লুডউইগ গোরানসন— অনুরাগীদের মতে, যা এক স্বপ্নের সাউন্ডস্কেপ অপেক্ষা করছে। ২০২৬-এর শেষ দিকে শুরু হবে এই ছবি শুটিং, ২০২৮-এ বড়পর্দায় এ ছবি মুক্তি পাবে ইউনিভার্সাল স্টুডিওস-এর ব্যানারে। তাই ইকোস ওফ ভায়োলেন্স কে বলাই যায় গল্প বলার দুই বিপরীত পদ্ধতির বিস্ফোরক সংমিশ্রণ।
অবসরের আগে টারান্টিনোর ফাইনাল মাস্টারস্ট্রোক!
